নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: পুত্তুবা হনুমানথাপ্পা কোট্টুরা (Puttavva Hanumantappa Kottura)। বয়স ৭৫। নিবাস হাভেরি জেলার রানেবেন্নুরের রঙ্গনাথনগরে। যথেষ্টই বিত্তশালী। ৩০ একর জমি ছাড়াও সাতটি আবাসিক ফ্ল্যাট ও বাড়ির মালিকানা রয়েছে তাঁর নামে। ১১ সন্তান নিয়ে ভরা সংসার। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এসে বড্ড একা তিনি। কোনও সন্তানই দেখভালের দায়িত্ব নিতে চাইছে না। তাই চরম যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকার পরিবর্তে মরে যেতে যান তিনি। আর তার জন্য অদৃষ্টের উপরে ভরসা না করে স্বেচ্ছামৃত্যুর (mercy killing) অধিকার চেয়ে আজ শুক্রবার সরাসরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Of India Droupadi Murmu) কাছে চিঠি দিয়েছেন।
হাভেরির জেলাশাসক সঞ্জয় শেত্তানাভারার (Sanjaya Shettannavara) মাধ্যমে দেশের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর (mercy killing) আর্জি জানিয়ে পঁচাত্তর বছর বয়সী পুত্তুবা দেবী যে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন তাতে তিনি যা লিখেছেন, তা যে কারও চোখেই জল নিয়ে আসবে। পঁচাত্তর বয়সী বৃদ্ধা লিখেছেন, ‘সাত পুত্র সন্তান ও চার কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছি। ভেবেছিলাম, জীবনের শেষের দিনগুলি তাঁদের দেখভালেই কাটবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হল, কোনও সন্তানই আমার দায়িত্ব নিতে চাইছে না। আমি তাঁদের কাছে কার্যত জঞ্জালে পরিণত হয়েছি। এই বয়সে বড্ড নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছি। এই ভাবে আর বেঁচে থাকতে চাই না। অতএব আমাকে স্বেচ্ছামৃত্যুর (mercy killing) অনুমতি দেওয়া হোক। এই যন্ত্রণাময় জীবন শেষ হোক।’
অসহায় এক মায়ের স্বেচ্ছামৃত্যুর করুণ আর্তি জানিয়ে করা আবেদন পেয়ে রীতিমতো হতবাক হাভেরির জেলাশাসক সঞ্জয় শেত্তানাভারা (Sanjaya Shettannavara)। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ‘পুত্তুবা দেবীর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলা হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও কথা বলা হবে। যাতে তারা জীবনের শেষদিনগুলি পর্যন্ত তাঁকে দেখাশোনা করেন।’