নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেকেই আছেন যাঁরা পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে বসবাসকারী জনসংখ্যার সমস্যা ও অভিজ্ঞতা নিজে অনুভব করে দেখতে চান। বুঝতে চান তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপণ ও দুঃখকষ্ট। কারণ বস্তিতে থাকা অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্নের মতোই। সেই সমস্ত মানুষদের জন্য এবার এই বস্তিতেই থাকার ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার এক রিসর্ট, শ্যান্টি। যেখানে টিনের চাল ও অন্যান্য ওয়াটারপ্রুফ সামগ্রী দিয়ে তৈরি ছোট ছোট কুঁড়েঘর রয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য। সাধারণত এই ধরণের কুঁড়ে ঘরে হত দরিদ্র মানুষের বাস। দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ তারা স্পা ও রিসর্ট হল ইমোয়া এস্টেটের শ্যান্টি টাউন। মেটালের তৈরি এরকম ৫২টি কুঁড়েঘর রয়েছে এখানে। যেখানে বসবাস করে দারিদ্রতার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন আপনিও।
এমনকি ধনী ব্যক্তিদেরও এখানে একজন দরিদ্রের মতোই জীবন কাটাতে হয়। তবে এখানে থাকলে সবসময় নোংরা, আবর্জনার স্তূপের গন্ধ সহ্য করতে হবে না। আবার কোনও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও বসবাস করতে হবে না পর্যটকদের। এই রিসর্টটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, গ্রাহকদের স্বচ্ছন্দ ও সুবিধার পূর্ণ যত্ন নিয়ে থাকে। কেউ কেউ মনে করছেন দারিদ্রের মতো বসবাস করা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা হাতেনাতে এমন অভিজ্ঞতা করতে চান। মূলত তাঁরাই এই শ্যান্টি নামক রিসর্টটিতে গিয়ে থাকছেন এবং বোঝার চেষ্টা করছেন দরিদ্র জনগনের প্রকৃত অবস্থা।
তবে হ্যাঁ, এই দরিদ্রের কুঁড়ে ঘরেও কিন্তু আপনি পাবেন বিলাসিতার ছোঁয়া। সাধারণ বস্তিবাসীদের মতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, জল, বিদ্যুতের সমস্যা, নোংরা বা আবর্জনার মধ্যে দিন কাটাতে হবে না। তাই নিজের বিলাসিতাকে বজায় রেখে কুঁড়েঘরে থাকার ইচ্ছা পূরণের জন্য অনেকেই শ্যান্টি-মুখো হচ্ছেন। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরণের পরিষেবা বিশ্বে কোথাও নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড়ি পরিবেশে তাই দারিদ্রতার মুখোমুখি হতে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন শ্যান্টি রিসর্টে কটা দিন কাটিয়ে আসতে।