এই মুহূর্তে




কাজের চাপে ৪৫ দিন ঘুমোননি, মুক্তি পেতে আত্মঘাতী বেসরকারি সংস্থার কর্মী




নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: বেসরকারি সংস্থাগুলি কর্মীদের উপরে কাজের কতটা স্টিম রোলার চালায়, তার আরও এক জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। কাজের অত্যাধিক চাপে একটানা ৪৫ দিন দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি। উল্টে প্রতি মুহুর্তেই সংস্থার পদস্থ কর্তারা হুমকি দিয়েছেন, বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণ করতে না পারলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। ফলে এক অমানসিক যন্ত্রণা নিয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী তরুণ সাক্সেনা। শেষ পর্যন্ত ওই যন্ত্রণাময় জীবন থেকে মুক্তি পেতে নিজেকেই শেষ করে দিলেন ৪২ বছরের তরতাজা যুবক।  

ঝাঁসিতে বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন তরুণ। আজ সোমবার সকালে নিজের বাড়ির বদ্ধ ঘর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী মেঘা সাক্সেনার উদ্দেশে এক পাঁচ পাতার চিঠি (পুলিশ যাকে সুইসাইড নোট বলছে) লিখে রেখে গিয়েছে। ওই পাঁচ পাতার চিঠির প্রতি ছত্রে কর্মক্ষেত্রে কতটা চাপ ও অত্যাচারের মধ্যে তাঁকে কাটাতে হয়েছে, তা লিখে রেখে গিয়েছেন ৪২ বছরের তরুণ। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কর্মরত সংস্থার গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসিক কিস্তি (ইএমআই) আদায় করা দায়িত্ব ছিল তাঁর। আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছিলেন অফিসের শীর্ষ কর্তারা। বহু চেষ্টা এবং দিনরাত প্রাণিপাত করেও সংস্থার বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণ করতে পারেননি তরুণ। ফলে প্রতি মুহুর্তেই অফিসের সিনিয়রদের কাছে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছিল। লক্ষ্যপূরণ না হলে বেতন কেটে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন সিনিয়ররা।

কীভাবে লক্ষ্য পূরণ করবেন, তা ভেবে টানা দেড় মাস দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি তরুণ। চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার ভয় তাঁর মনের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। চাকরি চলে গেলে বাবা, মা, স্ত্রী আর দুই শিশু সন্তানের ভরণ-পোষণ কীভাবে চালাবেন, তা ভাবতে গিয়ে এক অব্যক্ত যন্ত্রণায় দীর্ঘদিন জর্জরিত হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কাজের চাপ , কাজ হারানোর ভয়ে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তরুণ। শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার শেষে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে পাশের রুমে বন্ধ করে রেখে আত্মঘাতী হন তরুণ। পরিবারের সবাইকে অথৈ জলে ফেলে যাওয়ার জন্য স্ত্রী মেঘার কাছে ক্ষমা চেয়ে শেষ চিঠিতে লিখেছেন, ‘এই যন্ত্রণার জীবন আর টানতে পারছি না। প্রতি মুহুর্তে চাকরি যাওয়ার ভয় গ্রাস করেছে। স্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনার রাস্তাও হারিয়ে ফেলেছি। আমি চলে যাচ্ছি। ক্ষমা করে দিও।’ কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে তরুণের আত্মঘাতী হওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তাদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও এ বিষয়ে কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশের যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীকে দেওয়া মোদির সোনার মুকুট চুরি

গল্প নয় সত্যি, মাত্র এক টাকায় মিলছে নতুন জামা-কাপড় থেকে চাল-ডাল

গরিব-মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য ‘গৌরী সেন’ হয়ে উঠেছিলেন রতন টাটা, জানুন কীভাবে?

ফের ধর্মীয় রোষ! উত্তরপ্রদেশে ‘ডাণ্ডিয়া’ অনুষ্ঠান থেকে তাড়ানো হল ‘মুসলিম’ সঞ্চালিকাকে

সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান ক্যাং

যোগীরাজ্য গম চুরির সন্দেহে ৩ দলিত কিশোরকে মাথা ন্যাড়া করিয়ে ঘোরানো হল গ্রামে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর