নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র ৭ দিন। তারপরই শারদোৎসবে মাতবেন সকলে। উৎসব প্রিয় বাঙালি সারা বছরই এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। করোনার জন্য গতবছর সেইভাবে করা যায়নি দুর্গাপুজো। নিয়ম-কানুন এবং বিধি-নিষেধ মেনে মা দুর্গার আরাধনা চলেছিল। মারণ ভাইরাসটির আতঙ্ক সঙ্গে করে নিয়েই আট থেকে আশি সকলেই মেতেছিলেন পুজোর আনন্দে।
এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। গতবারের মতোই কোভিড বিধি মেনেই চলতি বছর শারদোৎসব পালন করবে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। তবে হিন্দুদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শুধুমাত্র যে বাংলাতেই সীমাবদ্ধ নেই সেটা সকলেই জানা। ভিন রাজ্যে তো বটেই, সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে পুজোর হাওয়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশে অনেক আগেই পাড়ি দিয়েছে।
বাংলার মতো দুর্গাপুজোর তোড়জোড় চলছে কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকটি পুজোতে। তাদের মধ্যে একটি হল নর্থ বেঙ্গালুরু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পুজো। যেটি এবার ৫৩ বছরে পা দিতে চলেছে। পাশাপাশি, রয়েছে অভিনন্দন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এবং আর টি নগর সর্বজনীন। এছাড়া আরও অন্যান্য। সমস্ত জায়গায় পুজোর বিশেষত্ব হল সাবেকিয়ানা এবং থিম।
তবে এর থেকেও বড় উদ্যোগ নিয়েছে বেঙ্গালুরুর এই পুজো কমিটিগুলি। করোনা মতো শক্তিশালী ভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মণ্ডপের ভিতরই থাকছে ভ্যাকসিনেশন সেন্টার। অর্থাৎ পুজোর মধ্যেও মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করেছেন উদ্যোগক্তারা। এই কাজের জন্য স্থানীয় প্রশাসনও তাদের সাহায্য করবে বলেছে।