নিজস্ব প্রতিনিধি, মধুপুর: চার দশক ধরে টাঙ্গাইলের মধুপুরের দোখলা বন বিশ্রামাগারের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশালাকৃতি গাছটি। ডালপালা মেললেও গাছটিতে না হয় ফুল, না হয় ফল। ফলে অনেকটা অযত্নেই ছিল। নামগোত্রহীন গাছের দিকে কেউ ফিরেও দেখত না।
কিন্তু আচমকাই বদলে গেল ভাগ্য। দক্ষিণী নায়ক অল্লু অর্জুনের সুপার-ডুপার হিট ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ মুক্তির পরেই রাতারাতি গাছটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকরা। না, মোটেও গল্প নয়। বরং ষোলআনা সত্যি। এতদিন নামগোত্রহীন থাকা গাছটির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে ‘পুষ্পা’ ছবির দৌলতেই। কেননা, ছবিতে যে রক্ত চন্দন গাছ দেখানো হয়েছে, মধুপুরের দোখলা বন বিশ্রামাগারের চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা গাছটি ওই একই প্রজাতির। ফলে রাতারাতি নামগোত্রহীন গাছটি ভিআইপির মর্যাদা পাচ্ছে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরেই গাছটিকে বাঁচাতে যেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনই এর বংশ-বিস্তারের জন্যও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মধুপুর দোখলা বনের রেঞ্জ আধিকারিক ইসমাইল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘গাছটির বয়স চার দশকের বেশী হবে। অথচ এটি যে রঞ্জনা বা রেড স্যান্ডালউড অর্থাৎ রক্ত চন্দন গাছ তা এতদিন জানতে পারিনি। গাছটিতে আঘাত করলেই রক্তের মতো লাল কষ বের হয়। পরিচয় শনাক্তের পরে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ গাছটি দেখতে আসছেন। গাছটি ঘিরে সাধারণ মানুষের যে কৌতুহল লক্ষ্য করছি, তা অকল্পনীয়। আমরা গাছটি সংরক্ষণের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। কেউ যাতে কোনও ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’