নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: হাস্যরসে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তিনি থাকা মানে নিমিষে উধাও গম্ভীর পরিবেশ। শুক্রবার পটনায় বিরোধী দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার স্বমহিমায় দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। সাংবাদিক সম্মেলনে পাশে বসা রাহুল গান্ধিকে লক্ষ্য করে আবদারের সুরে তিনি বলে ওঠেন, ‘আগেও আপনাকে আমি বহুবার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু আপনি আমার কথা শোনেননি। এখনও বলছি বিয়ে করুন। আমরা বরযাত্রী হয়ে যাব। আপনার মা সোনিয়া গান্ধি আমায় বলেছিলেন, আমার কথা তো শুনতে চায় না। আপনারাই বোঝান। এখনও বিয়ের বয়স পেরিয়ে যায়নি। আমি বলছি, আপনি বিয়ে করুন। আমার কথা রাখতে হবে আপনাকে।’ লালুর কথা শুনে লজ্জায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির মুখ লাল হয়ে যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত নীতীশ কুমার, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ অন্যান্য বিরোধী নেতা-নেত্রীরা হেসে ওঠেন।
পটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে ডাকা বিরোধী দলের বৈঠকে অসুস্থ শরীর নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। লালকৃষ্ণ আদবানির রথ আটকে দেওয়া লালুপ্রসাদ যাদব বৈঠকে নিজেদের মধ্যে মতভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করাকে পাখির চোখ করতে বলেন। প্রবীণ নেতা বলেন, ‘আগামী লোকসভা ভোটে যদি বিজেপি ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের গণতন্ত্র আর বাঁচবে না। কোনও বিরোধী দলের অস্তিত্ব থাকবে না।’
প্রায় চার ঘন্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে যৌথভাবেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন ১৫ বিরোধী দলের নেতা-নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধি, উদ্ধব ঠাকরে থেকে শুরু করে তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন-সবাই বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হন। কিন্তু রাজনীতির কচকচানির মধ্যে না গিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেঁধেন লালুপ্রসাদ। কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘আমেরিকায় গিয়ে চন্দন কাঠ বিলি করেছেন মোদিজি।’