এই মুহূর্তে




দশভুজা রূপে নন, দু-হাতেই দুর্গা পূজিতা হন বনগাঁর দাঁ বাড়িতে

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটল। আর কিছু সময় মাত্র এরপরই উমাকে মর্ত্যে স্বাগত জানাবে ভক্তরা। কৈলাস থেকে মর্ত্যে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুর্গতিনাশিনী। তবে পুজোর আরও একটা অন্যতম আকর্ষণ হল বনেদি বাড়ির পুজো। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বনেদি বাড়ির পুজো। অতীতের সেই জৌলুস, ধারা আজও ধরে রেখেছে বনেদি বাড়ির পুজো। এই প্রাচীন পুজো শুরুর এক একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বটে। তেমনই বনগাঁর প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল দাঁ বাড়ির পুজো। ৩০০ বছর হতেই চলল। এখনও নিয়ম-রীতি মেনে দাঁ বাড়ির পুজো চলে আসছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল মা দশভূজা রুপে নয়, এখানে মা পুজিত হয় দু-হাতেই। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে ধনপতি সওদাগরের বংশধর এই দাঁ পরিবার প্রথম শুরু করেছিলেন দুর্গা পুজো। এই দুর্গা কমলেকামিনী নামে পরিচিত। স্বপ্নে পাওয়া দেবীর মূর্তির আদলে মূর্তি বানিয়ে বৈঁচিতে প্রথম শুরু হয়েছিল কমলেকামিনী দেবীর পুজো।

এখনও দাঁ বাড়িতে ঐতিহ্য মেনে এখনও পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে। একসময় ধনপতি সওদাগর বাণিজ্য করতে যাওয়ার পথে প্রবল ঝড় বৃষ্টি চলাকালীন সমুদ্রের মধ্যে এক দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন। রাজা শালিবান সেই গল্প শুনে, দেবী দর্শন করতে চেয়েছিলেন। তাই রাজা ধনপতি সওদাগরকে নিয়ে সমুদ্রে গেলেও, দেবীর দর্শন পান নি। ফলে ক্ষুব্ধ রাজা বন্দী করেন ধনপতি সওদাগরকে। পরবর্তীতে, ধনপতি সওদাগরের ছেলে শ্রীমন্ত বড় হয়ে বাবার খোঁজে সেই রাজার কাছে যান। দেবীর দর্শন পাবার জন্য রাজাকে নিয়ে সমুদ্রপথে পাড়ি দেন ছেলে শ্রীমন্তও। কিন্তু রাজাকে সেই দেবীর রূপ দেখাতে না পারায়, ক্ষুব্ধ রাজা শ্রীমন্তকে মাঝ সমুদ্রে ফেলে দেন।  এরপরই শ্রীমন্তকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেন কমলেকামিনী দেবী দুর্গা।

মঙ্গলচণ্ডীর সেই কাহিনী থেকেই স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই বংশের সদস্যরা অসুরবিহীন দুহাত বিশিষ্ট এই দুর্গা প্রতিমার পুজো করে আসছেন।দেবীর রূপ এখানে হল, একহাতে ধরা শ্রীমন্ত ও অন্য হাতে পদ্ম নিয়ে অভয়দাইনি মা।

১৯৭১ সালে বনগাঁর দাঁ বাড়িতে শুরু হয় কমলেকামিনী রূপে দুর্গার পুজো। জন্মাষ্টমীর দিন থেকে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়। পুজোর বিশেষত্ব বলতে দাঁ বাড়িতে অষ্টমীর দিন কুমারি পুজোর রীতি রয়েছে।নবমীর দিন ধুনোচি নাচের সঙ্গে রয়েছে নর-নারায়ন সেবা।

পুজোর সময় একবার হলেও এই জাগ্রত দেবীর দর্শন করে যান এলাকার প্রায় সমস্ত মানুষই। দূর দূরান্ত থেকেও বহু মানুষ আসেন কমলেকামিনী এই দেবীর পুজোয়। উৎসবের আনন্দে মেতে থাকেন দাঁ পরিবার।

তবে পরবর্তী সময়ে এক ভাই চলে যান যশোর, অন্য ভাই কৃষ্ণচন্দ্র দাঁ থেকে যান গোপালনগরে। সেখানেই ব্যবসার পাশাপাশি শুরু করেন দাঁ বাড়ির স্বপ্নে দেখা দেবী মূর্তি কমলেকামিনীর পুজো। এখানে দেড়শ বছরের অধিক এই পুজো হলেও, পরবর্তী সময়ে কৃষ্ণচন্দ্র দাঁ এর পঞ্চম বংশধর অজিত কুমার দাঁ বনগাঁয় প্রচলন করেন এই পুজোর।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

Ratan Tata-কে শ্রদ্ধা জানাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করল জামশেদপুরের ৩৩২ পুজো কমিটি

বাংলাদেশের যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীকে দেওয়া মোদির সোনার মুকুট চুরি

গল্প নয় সত্যি, মাত্র এক টাকায় মিলছে নতুন জামা-কাপড় থেকে চাল-ডাল

ফের ধর্মীয় রোষ! উত্তরপ্রদেশে ‘ডাণ্ডিয়া’ অনুষ্ঠান থেকে তাড়ানো হল ‘মুসলিম’ সঞ্চালিকাকে

সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান ক্যাং

যোগীরাজ্য গম চুরির সন্দেহে ৩ দলিত কিশোরকে মাথা ন্যাড়া করিয়ে ঘোরানো হল গ্রামে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর