নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ফজলি আমের মালিকানা নিয়ে রাজশাহী বনাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধ্যে দ্বৈরথের অবসান ঘটাতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ডিএনএ পরীক্ষার পরেও নিশ্চিত করেও নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হল না। মঙ্গলবার বিশেষ শুনানি শেষে যৌথভাবে দুই জেলাকেই জিআই সনদ দেওয়া হল। তার মানে আমের রাজা ফজলিকে নিজেদের আম বলে প্রচারের সুযোগ থাকছে দুই জেলার আম চাষিদেরই। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দরজায় কড়া নাড়া হবে কিনা, তা নিয়ে এদিন রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আধিকারিকরা।
রাজশাহীর বাঘার ফজলি আমের সুনাম দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে রাজশাহীর বাঘার ফজলি আমের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন জানায় রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদন খতিয়ে দেখে গত বছরের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেব স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর। আর তার পরেই বিরোধের সূত্রপাত। ফজলি আম’কে নিজেদের অঞ্চলের দাবি করে আপত্তি জানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন। দুই জেলার পক্ষ থেকে নিজেদের দাবির স্বপক্ষে নানা নথি জমা দেওয়া হয়।
এদিন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরে বিশেষ শুনানি হয়। শুনানিতে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী আলীম উদ্দিন অংশ নেন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে জাহাঙ্গীর সেলিম ও মুনজের আলমসহ ৬ জন অংশ নেন। দুই পক্ষের তরফেই বিশেষ তথ্য হাজির করা হয়। দুই জেলার পক্ষে আমের রাজা ফজলির জিআই সনদ তাদের প্রাপ্য বলেও দাবি জানানো হয়। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলা শুনানি শেষে বিকেলে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরে পক্ষ থেকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ফজলি আমের জন্য জিআই সনদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।