নিজস্ব প্রতিনিধি: এদিন অর্থাৎ সোমবার থেকে তৃণমূলের(TMC) হয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের(Panchayat Election) প্রচার শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন তিনি উত্তরবঙ্গের(North Bengal) কোচবিহার(Coachbehar) থেকে সেই প্রচার শুরু করলেন। সেই সভাতেই তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, জেলার উন্নয়নে তাঁর দল ও সরকার কী কী করেছে। জানিয়ে দিলেন তাঁর দলের কর্মীদের(Party Workers) শাসন করার পূর্ণ অধিকার আছে আমজনতার। জানিয়ে দিলেন এবার থেকে দলের হাতে থাকা সব গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ন্ত্রণ করা হবে পূর্ণ দমে। কাউকে ১ টাকাও চুরি করতে দেবেন না তিনি। সাফ জানালেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে অভিষেক আর ওর টিম গোটা রাজ্যে ঘুরেছে। ৯৯ শতাংশ আসনে প্রার্থী বাছাই হয়তো ঠিক হয়েছে। ১ শতাংশ কেউ কেউ আছে, যারা চুরিও করবে আবার টিকিটও চাইবে। কিন্তু সেটাও আমরা করতে দিচ্ছি না। পঞ্চায়েত ভোটে কোনও চোরকে টিকিট দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন কোচবিহারের মাটি থেকে মোদিকে কটাক্ষ মমতার
বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও চুরি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে রয়েছে। এবার সেই বিরোধীদের বার্তা দিয়ে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো পঞ্চায়েতে চুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘আগে আমরা পঞ্চায়েতকে গুরুত্ব দিতাম না। কিন্তু এবার থেকে সেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। এবার থেকে পঞ্চায়েত আমরা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করব। কাউকে চুরি করতে দেবেন না। কেউ টাকা চাইলে ছবি তুলে রাখবেন। তার পর আমাকে পাঠিয়ে দেবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দুমাস আগে থেকে কর্মীদের মত নেওয়া হয়েছে। কাউকে টাকা দেবেন না, আমরা চুরি করতে দেব না। আমরা চাই মানুষের পঞ্চায়েত। যদি আমাদের কেউ আপনাদের কোনও দুঃখ দিয়ে থাকে আপনাদের আমি তাদের হয়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। যদি কেউ দুষ্টুমি করে তাহলে দুটো চড় মারবেন। আপনাদের সেই রাইট দিয়ে গেলাম। আমি যুব সমাজকে বলব, মা-বোনদের পেছন থেকে মদত দেবে। বয়স্করা আপনাদের বুদ্ধি দেবে, পরামর্শ দেবে, আপনাদের কাজ করতে উৎসাহ দেবে।’
আরও পড়ুন ২৫ বছর বয়স হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ঘোষণা মমতার
এর পাশাপাশি মমতা তুলে ধরেন কোচবিহার জেলার উন্নয়নের জন্য তাঁর দল আর সরকার কী কী করেছে। তিনি তুলে ধরে বলেন, ‘কোচবিহার বিমানবন্দরের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে যোগীঘোপা-ময়নাগুড়ি রেল সংযোগ, চ্যাংড়াবান্দা-মালবাজার রেল সংযোগ, সব আমি করে গেছিলাম। তা ছাড়া পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, স্টেডিয়াম, মদনমোহন মন্দির সংস্কার সবই হয়েছে তৃণমূল জমানায়। যা বাম জমানায় মানুষ ভাবতেও পারেনি। আগামী দিনেও কোচবিহার জেলায় উন্নয়ন হবে। রাজবংশীদের উন্নয়ন বোর্ড আমরাই করে দিয়েছি। সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন বোর্ড আমরাই করে দিয়েছি।’