নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) এবার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) বিরুদ্ধে লড়াই করতে নামা বিরোধী দলগুলির কাছে এবার একটা মারাত্মক অস্ত্র হয়ে উঠেছে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ। দেখা যাচ্ছে, সেই অভিযোগকে ঘিরে ছোট ছোট এলাকায় কার্যত জোড়াফুলের বিরুদ্ধে রীতিমত ঝড় তুলেছে বিরোধী শিবির। যেমন হুগলি(Hooghly) জেলার পাণ্ডুয়া(Pandua) ব্লকের পাঁচগড়া তোরগ্রাম পঞ্চায়েতের নিয়াল এলাকায় কেউ বা কারা সোমবার সকালে Poster দিয়েছেন এলাকারই তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সেই Poster-এ দাবি করা হয়েছে, ওই প্রার্থীর নাকি বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে, বাড়িতে আছে AC। আর এই Poster কাণ্ডেই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে পাণ্ডুয়ার জোড়াফুল শিবির।
আরও পড়ুন কঙ্কাল সুশান্তের বিরুদ্ধে পোস্টার চন্দ্রকোণার গ্রামে
ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে নিয়াল এলাকায় যে সব Poster চোখে পড়েছে সেখানে দাবি করা হয়েছে, ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের প্রার্থী মহম্মদ নূরসোভা মোল্লার নাকি দোতলা বাড়ি আছে। ৫০ বিঘা চাষ যোগ্য জমি আছে। বাড়িতে AC মেশিন রয়েছে। নিজের চাষের ট্রাক্টরও রয়েছে। তা সত্ত্বে নিজের মায়ের নামে সংখ্যালঘু সেলের ঘর নিয়েছেন। এছাড়া কাজ না করেই নাকি তিনি ১০০ দিনের কালের প্রকল্পের জব কার্ডের মাধ্যমে টাকাও নিয়েছেন। সব শেষে লেখা, ‘আপনারা ভাবুন কাকে ভোট দেবেন?’ নীচে লেখা ‘এলাকার মানুষ’। তবে এলাকার মানুষ কি সত্যিই এই পোস্টার দিয়েছে? তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ সবটাই লাল পার্টির কীর্তি। সেই দাবি অস্বীকারও করছেন না বাম নেতারা। তাঁদেরও দাবি, ওই প্রার্থীর ব্যাপারে সব তথ্য যে তাঁদের কাছে রয়েছে। এই বিষয়ে অই এলাকারই পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়ানো বাম প্রার্থী মহম্মদ শরিফুল হাসানের দাবি, ‘আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে। আমরা চাই এই ঘটনার তদন্ত হোক। তৃণমূলের যত চোর নেতা রয়েছেন তাঁদের খাতা খুলে দেব। তাঁর দাবি, এলাকায় এমন আরও অনেক তৃণমূল নেতা রয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে চাকরি চুরি, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তবে পোস্টার আমরা দিইনি।’
আরও পড়ুন বার্লার জেলায় অগ্নিপরীক্ষায় বিজেপি, পিছিয়ে তৃণমূল
যদিও তৃণমূল প্রার্থী নূরসোভা মোল্লা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বামেদের পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, ‘ওরা আমাকে ভয় পাচ্ছে। তাই আবোল তাবোল বলছে। প্রয়োজনে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করা হোক। সিপিএম ৩৪ বছর ধরে রাজত্ব করেছে, তারা কোনও কাজ করেনি, শুধু হার্মাদ পুষেছে। এখন লড়াই করতে না পেরে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ৫০ বিঘা জমি আছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাও মিথ্যা।’