নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি বিকালে হয়েছিল সভা। সেই সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলে এসেছিলেন, ‘এটা ২০১৮ সাল নয়। এটা ২০২৩ সাল যে বুথ থেকে মেরে তাড়িয়ে দেবে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। তৃণমূলের মোকাবিলা করার মতো আমরাও প্রস্তুত হয়েছি।’ কিন্তু সেই সভার পর ২৪ ঘন্টাও কাটল না, সভাস্থলে পড়ে গেল Go Back শ্লোগান দেওয়া পোস্টার। কে বা কারা সেই পোস্টার দিল তা এখনও জানা যাচ্ছে না। সভার আয়োজকদের দাবি, রাজ্যের শাসক দলের তরফেই সেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ এলাকারই লাল পার্টির একাংশ। তাঁদের দাবি, দলের অন্দরের ক্ষোভই বেড়িয়ে এসেছে পোস্টারে। কিন্তু কাকে ঘিরে এই ক্ষোভ। তিনি আর কেউ নন, বাম বাংলার জলজ্যান্ত কঙ্কাল নায়ক সুশান্ত ঘোষ(Susanta Ghosh)।
আরও পড়ুন বার্লার জেলায় অগ্নিপরীক্ষায় বিজেপি, পিছিয়ে তৃণমূল
পঞ্চায়েতের ভোটে(Panchayat Election) জিততে সুশান্ত ঘোষকেই ফের মাঠে নামিয়েছে সিপিআই(এম)(CPIM)। পশ্চিম মেদিনীপুরের(Paschim Midnapur) মাটিতে তিনিই কার্যত পঞ্চায়েত ভোটে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রবিবার জেলার চন্দ্রকোণা থানার জাড়া গ্রামে সভা ছিল লালপার্টির। কার্যত জেলার মাটিতে এটাই সিপিআই(এম)’র প্রথম নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেখানে সুশান্ত ছাড়াও ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য যুব নেতা শতরূপ ঘোষ ও দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরাও। সুশান্ত এখন দলের জেলা কমিটির সম্পাদক। কিন্তু সূত্র বলছে তাঁকে এভাবে সামনে নিয়ে আসা ও তাঁর নেতৃত্বেই ভোটের প্রচার মানতে পারছেন না অনেক বাম সমর্থক ও কর্মীরাই। আর তাঁরাই সভার পরেরদিনই সভাস্থল ভরিয়ে দিয়েছেন পোস্টারে পোস্টারে। তাতে লেখা – ‘কঙ্কালকাণ্ডের নায়ক তোমাকে জানাই ধিক্কার, গো ব্যাক, গো ব্যাক’। কে বা কারা এই পোস্টার দিল, তা অজ্ঞাত। কারণ, পোস্টারে কারও নাম নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। কেউই দায় নিতে চাইছে না।
আরও পড়ুন বিজেপি যোগ ফাঁস হতেই সুর বদল নওশদের, সরছেন সমর্থকেরা
রবিবারের সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল সিপিআই(এম)’র রামজীবনপুর এরিয়া কমিটির ডাকে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শুধু জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি বুথের প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকরা। কিন্তু জেলযাত্রার পর বেকসুর খালাস হয়ে ফের রাজনীতির ময়দানে ফেরার পর আলিমুদ্দিনের কাছে সুশান্ত যতই আস্থাভাজন হোন না কেন, এলাকাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা যে আর তেমন নেই, এই পোস্টারকাণ্ডে তা ফের স্পষ্ট হল। অনেকেই মনে করছেন, এই রকম দাগী লোককে দলের মুখ করে আদতে দলের পতন আরও নিশ্চিত করছেন দলেরই নেতারা।