নিজস্ব সংবাদদাতা: ধন্যি মেয়ের সেই দৃশ্যটা হয়তো কোনওদিন বাঙালি ভুলতে পারবে না। কেননা এই ছবির একটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছিল ফুটবল। যে খেলা বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সেই ফুটবলকে ঘিরেই হাওড়া জেলার আমতাতে আজ থেকে ১০০ বছর আগে আত্মপ্রকাশ করেছিল হাওড়া ইউনিয়ন নামক একটি ক্লাব। তবে শুধু ফুটবলই নয়, ক্রিকেট হকিতেও সমান স্বাচ্ছন্দ্য ছিল এই ক্লাবের। এখন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান, এরিয়ান্সের সঙ্গে শতবর্ষ পার করা এই ক্লাবের নামটিও লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।
দীর্ঘ এই পথে সুসময় যেমন কেটেছে ক্লাবের, তেমনই তাকে সহ্য করতে বহু ঝড় ঝাপটা। বদল হয়েছে ক্লাবের জন্মস্থানও। গ্রাম্য শহর আমতার মায়া চিরতরে কাটিয়ে হাওড়া ইউনিয়ন ক্লাবের স্থায়ী আস্থানা চলে এল ফুটবলের মক্কাতে। মহমেডান মাঠ লাগোয়া অঞ্চলেই ঘর বাঁধলেন সেই সময়কার ক্লাবকর্তারা। সালটা ছিল ১৯৬২। যা আজও বর্তমান।
আরও জানতে পড়ুন: IPL-2023-লারাকে কৃতিত্ব দিলেন নটরাজনhttps://www.eimuhurte.com/sports/t-natarajan-credit-brayan-lara/
ছয় এবং সাতের দশকে কলকাতা ফুটবল কিংবা হকি লিগে হাওড়া মানেই ছিল একটা কঠিন লড়াই-এর স্বপ্ন দেখানো একটা দল। যে দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের জাত চেনাতে ছিল বদ্ধ পরিকর। ফুটবলে বড় দলের কাছে কঠিন বাঁধা হয়ে দাড়ানো হাওড়া ইউনিয়ন ক্লাব মাঝের বেশ কয়েকটি বছর যেন কিছুটা ফিঁকে হয়ে গিয়েছিল। কারণ একটাই। ময়দানের কর্পোরেট সংস্থার দাপাদাপি।
শুধু কি কলকাতা নয়দান তা নয়, ভারতের হয়ে বহু প্রতিষ্ঠিত ফুটবলার আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এই ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলেই। কে নেই সেই তালিকায়। সুভাষ চক্রবর্তী, সীতেশ দাস, অতুন ভট্টাচার্য, ফাল্গুনী দত্ত, শেখ আজিমের মতো ফুটবলাররা সবাই হাওড়া ইউনিয়নের জার্সি গায়ে দিয়েই ময়দানে পরিচিতি পেয়েছেন। হকিতে অলিম্পিয়ান গুরবক্স ছিলেন এই ক্লাবের অন্যতম খেলোয়াড়।
কর্পোরেট সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরে নয়, হাওড়া ইউনিয়ন ক্লাব ময়দানের সেই পুরনো ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়েই বেঁচে থাকতে বদ্ধ পরিকর। ক্লাব তাঁবুতে বসে সেই কথাই শোনাচ্ছিলেন ক্লাবের কর্তারা।
সেইসব কর্তাদের আশা একদিন না একদিন আবার ময়দানে ফিরে আসবে অতীতের সোনালি দিনগুলি। তারই প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে আছেন তাঁরা।