নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার বিকেলে ক্রিকেটের মেগা ইভেন্ট আইপিএল-এ (Sunrisers Hydrbad-এর মুখোমুখি (Rajasthan Royals)। হায়দরাবাদ দলটি ২০১৬ সালের পর আর ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি। কাজেই ২০২৩-এ যে তারা একটা ট্রফি জয়ের মরিয়া চেষ্টা করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মরশুমে নিজামের শহরের দলটিতে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে তারুন্যের ওপরও।
তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হ্যারি ব্রুকের দলে যোগ দেওয়া হায়দ্রাবাদীদের কাছে একটি বিরাট পাওনা। হ্যারি থাকায় ব্যাটিং লাইন আপ যথেষ্ট শক্তিশালী হবে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুধু হ্যারিই নন, আর একজন ভারতীয় অলরাউন্ডার রয়েছেন এই দলে যাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে হায়দরাবাদ কোচ বাজিমাত করতে চাইবেন তিনি হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এছাড়া ব্যাটার হিসেবে থাকছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল, ফিলিপ ক্লাসেনের মতো খেলোয়াড়রা।
শুধু ব্যাটিংয়েই নয়, বোলার হিসেবেও এই দলে থাকছেন ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক, নটরাজনরা। বিশেষ করে বিপক্ষ ব্যাটারদের কাছে ভুবি ও উমরান কিন্তু যথেষ্ট ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। তবে এই দলের দুর্বলতা হল একটাই জায়গায়। সেটা হল পেস বোলিং যতটা মজবুত, স্পিন বিভাগ কিন্তু ততটা নয়। একমাত্র ওয়াশিংটন ছাড়া বাকি যাঁরা রয়েছেন সেই আব্দুল সামাদ, আনমোলপ্রীতরা আর যাই হোক ম্যাচ উইনার বোলার হিসেবে এখনও প্রতিষ্ঠিত নন।
অন্য দিকে রাজস্থান রয়্যালও যে হায়দরাবাদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই। দাঁড়িপাল্লায় ওজন করলে দেখা যাবে দুই দলের ভারসাম্যের পার্থক্য হয়তো ১৯-২০। বসন্ধুরা রাজের শহরের দলটিতে এবারের সেরা ট্রামকার্ড হতে পারেন যশ বাটলার। আর বাটলারকে সহযোগিতা করার জন্য যাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে দল তিনি অবশ্যই যশস্বী আগরওয়াল। এই দলের চিন্তা থাকবে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে। ধারাবাহিকতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে সঞ্জুর মধ্যে। এখন দেখার চলতি আইপিএল ২০২৩ থেকে ছন্দে ফিরতে পারেন কি না সঞ্জু সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।
সঞ্জুর ব্যর্থতা ঢাকতে দায়িত্ব পড়বে জেসন হোল্ডারের ওপর। এমনই মত বিশেষজ্ঞদের বোলিং বিভাগে অশ্বিন, চাহাল জুটি যে কোনও দলের কাছে ত্রাস হবে এটাই স্বাভাবিক। আর নবাগত কুলদীপ সেন নভদীপ সাইনির ওপরও নজর থাকবে। সব শেষে বলা যেতেই পারে রবিবারের দুপুরে রাজস্থান রয়্যাল বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের লড়াই হাড্ডাহাড্ডিই হবে।২০২২-এ অল্পের জন্য ট্রফি জয়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।