এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

তৃণমূলকে হারিয়েও কদর পাননি দলে, পদত্যাগ একঝাঁক বিজেপি নেতার

নিজস্ব প্রতিনিধি: হুগলি জেলার(Hooghly District) আরামবাগ মহকুমা(aarambag Sub Division) বাম জমানায় রীতিমত লালদুর্গ হিসাবেই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পরিবর্তনের পরে সেই লালদুর্গেই কিছুদিনের জন্য উড়েছিল জোড়াফুলের পতাকা। কিন্তু দেখা গেল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা জুড়ে তৃণমূল(TMC) ঝড় বয়ে গেলেও আরামবাগ মহকুমায় বিজেপি(BJP) ঢেউ। সেখানকার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ের মুখে দেখেছিল বিজেপি। সেই জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী ছিল দলের সোশ্যাল মিডিয়ার(social Media) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা জন ৩০ যুবক, যারা কার্যত ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে কৌশলী প্রচার চালিয়ে আরামবাগের তৃণমূল নেতৃত্বকে ধরাশায়ী করেছিল। কিন্তু সেই দলেরই ২০জন সদস্য দলের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা মঙ্গলবার রাতেই জানিয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত। আর সেই দলত্যাগের কারণ হিসাবে তাঁরা তুলে ধরেছেন দলের অন্দরেই কদর না পাওয়ার বিষয়টি। এহেন ঘটনা এখন প্রকাশ্যে চলে আসায় রীতিমত মুখ পুড়ছে গেরুয়া শিবিরের।

আরও পড়ুন কেন্দ্রের ‘রিভার সিটিজ অ্যালায়েন্স’ কর্মসূচিতে বাংলার আরও ২৫ শহর

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগ মহকুমার চারটি আসনেই তৃণমূলকে হারাতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। এর মধ্যে পুরশুড়া আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ২৮ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে। খানাকুলে বিজেপি জিতেছিল প্রায় ১৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে। গোঘাট্বে ৪ হাজার ও আরামবাগে ৭ হাজারের কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল বিজেপি। এলাকার মানুষ থেকে ওই এলাকার অনেক বিজেপি নেতাই কার্যত প্রকাশ্যে স্বীকার করেন ওই জ্যের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বায়িত্বে থাকা ইনচার্জ শুভেন্দু নন্দী এবং তাঁর সঙ্গে কাজ করা জন ৩০ যুবকের একটি দল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে সেই শুভেন্দুবাবুই তাঁর সহযোগী ২০জন সদস্যকে নিয়ে দলের ওই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। আর সেই ইস্তফার কথা তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন। দলের এতজন কর্মীর একসঙ্গে এই গণইস্তফায় এখন রীতিমত মুখ পুড়ছে গেরুয়া শিবিরের। কেননা সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপরেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দলের সোশ্যাল মিডিয়া টিম মুখ থুবড়ে পড়লে তখন জয়ের সম্ভাবনাটাও অনেকটাই কমে যাবে।

আরও পড়ুন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের এবার মরণোত্তর হাত প্রতিস্থাপন এসএসকেএমে

কিন্তু এই গণইস্তফার কারণ কী? শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘২০১৭ সাল থেকে আমরা দায়িত্ব সামলাচ্ছি। কিন্তু, গত সাত মাস বিজেপির কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমাদের ডাকা হয় না। দায়িত্বপ্রাপ্ত সোশ্যাল মিডিয়ার সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই কো-ইনচার্জ শুভময় কুণ্ডুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে এবিষয়ে বহুবার বলা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধানসভা ও মণ্ডলের দায়িত্বে থাকা ২০ জন সদস্য ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। আমরা পদ ছেড়েছি, কিন্তু দল ছাড়িনি। সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেরাকে এই সমস্ত বিষয় জানানোর জন্য ফোন করেছিলাম। কিন্তু, তিনি ফোন ধরেননি। পরে জানতেও চাননি। আরামবাগে সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে কো-ইনচার্জ পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।’ যদিও এই বিষয়ে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুশান্ত বেরা জানিয়েছেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সংগঠনে পদত্যাগপত্র পাঠানোর কিছু নিয়ম আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা পদত্যাগপত্র গ্ৰহণ করা হয় না। শুভময়বাবু চেয়েছিলেন তাঁকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। সেই কারণেই তাঁকে সরানো হয়েছে। অন্যান্য যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁরা আবেগের বশে এই কাজ  করেছেন। তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’ দাবি পালটা দাবি যাই হোক না কেন, এই ঘটনায় যে গেরুয়া শিবিরের মুখ পুড়ছে তা অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র উপায় নেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ, আধা সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সরাসরি : সকাল ১১টা পর্যন্ত বাংলায় ভোটদানের হার ৩৩ শতাংশের বেশি

প্রথম ২ ঘন্টাতেই কমিশনের কাছে ৩৭টি অভিযোগ তৃণমূলের

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭০০০ পাতার চার্জশিট জমা ইডির

হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর