নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের পরে এবার বীরভূমের(Birbhum) রামপুরহাট(Rampurhat) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল(Hospital)। আবারও হাসপাতালে ঘটলো চিকিৎসাধীন রোগীর মরণঝাঁপের(Suiside) ঘটনা। এবারেও সেই হাসপাতালের ৫ তলা থেকে ঝাঁপ(Jump)। রবিবার সকালে রামপুরহাটের ওই হাসপাতালে কাজকর্ম চলছিল স্বাভাবিক গতিতেই। রবিবার হওয়ায় সকাল থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। বেলা ১২টা নাগাদ হঠাৎ করেই ওপর থেকে কিছু ভারী জিনিস পড়ার আওয়াজ পান অনেকেই। ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন কেউ একজন ঝাঁপ দিয়েছে। পরে জানা যায় বিন মহম্মদ সেখ(৩৫) নামে এক যুবক হাসপাতালের ৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। তাঁর বাড়ি জেলারই মাড়গ্রাম থানার কোড়া গ্রামে। গত ৪ মার্চ তাঁকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পারিবারিক অশান্তির জেরে কিটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টার জন্য। কিন্তু এদিন তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিনের ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠেছে ওই হাসপাতালের রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে। কিভাবে নিরাপত্তাকর্মীদের নজর এড়িয়ে, হাসপাতালের সব কর্মীদের নজর এড়িয়ে ৫ তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ঘটনার জেরে ওই যুবকের পরিজনেরা এদিন দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। তার জেরে আবার বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে। কিন্তু এই মৌখিক বিবৃতিতে ক্ষোভ কমছে না মৃত যুবকের পরিজনের। সব থেকে বড় অভিযোগ ওঠে এদিন ঘটনার পরেও ওই যুবকের পরিবারকে হাসপাতালের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। ওই যুবকের এক আত্মীয় এদিন সকালে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট বেডে গিয়ে ওই যুবককে দেখতে না পেয়ে তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ওই মৃত্যুর ঘটনা জানায়। খবর পাওয়া মাত্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা হাসপাতালে এমএসভিপি এবং সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ছোটেন। কিন্তু রবিবার হওয়ায় দুজনের কেউই হাসপাতালে ছিলেন না। বদলে ওয়ার্ড মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।