নিজস্ব প্রতিনিধি : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের সাফল্য কামনায় তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার অভিষেকের মন্দিরে পুজো দেওয়াকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর আগে প্রতিটি নির্বাচনের আগে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এবার অনুব্রত মণ্ডল নেই। অনুব্রতহীন বীরভূমে এবার দলের সাফল্য কামনায় পুজো দিলেন অভিষেক।
এদিন তারাপীঠের মন্দিরে যখন অভিষেক পুজো দিতে যান, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় সহ বীরভূমের তৃণমূল নেতারা। মন্দিরে পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ উঠে আসে। অনুব্রত প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক জানান, যেভাবে অজিত পাওয়ার, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিস্বশর্মা, নারায়ণ রানে বিজেপিতে গিয়েছেন, অনুব্রতও বিজেপিতে গেলে ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যেতেন। একইসঙ্গে অনুব্রত জেলে থাকাকালীনও কীভাবে গরু পাচার হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ১৪ থেকে ১৫ মাস তো অনুব্রত জেলেই রয়েছে। কিন্তু তারপরও বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে গরু পাচার হচ্ছে। কিন্তু এরজন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটা সমন পাঠানো হয়েছে।
এর আগে এদিন রামপুরহাটে কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে রণকৌশল স্থির করতে বৈঠক করেন অভিষেক। দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে অভিষেক জানান, অনুব্রত মণ্ডল ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। অনুব্রত যদি বিজেপিতে যোগ দিতেন, তাহলে এতদিন ধরে তাঁকে তিহাড়ে থাকতে হত না। একইসঙ্গে দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে কড়া নির্দেশ দেন অভিষেক। এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাফ জানিয়ে দেন. বিজেপি ও বামেদের অলিখিত জোটকে পরাস্ত করতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।