নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: লোকসভা নির্বাচনের সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। এতে তো আসমান ভেঙ্গে পরবেনা। আসমান ভেঙে চাঁদ নেমে আসবে না। সোমবার সন্ধ্যায় গোটা দেশের সিএএ (CAA)লাগু হওয়ার পর এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যারা বাংলাদেশ পাকিস্তান আফগানিস্তান থেকে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই এই নিয়ম চালু হল। অথচ তারপরে যারা এতদিন ধরে এসেছেন তাদের নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।
অধীর চৌধুরীর(Adhir Chowdhury) পাল্টা প্রশ্ন পাঁচ বছর আগে আইনটি তৈরি হয়েছে, এতদিন তা চালু হয়নি কেন? নির্বাচন এলেই নানা ধরনের ঘুঘু ধরার ফাঁদ তৈরি করা হয়। অধীরের প্রশ্ন কালো টাকা উদ্ধার করে সবার একাউন্টে ১৪ লক্ষ করে টাকা পাঠানো হবে তা কি পাঠানো হয়েছে? কালো টাকার সব বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলা হয়েছিল, তা কি হয়েছে? দেশে বেকারদের চাকরি হয়ে গিয়েছে বলা হয়েছিল তা কি হয়েছে? আসলে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করে নির্বাচনের সময় কিছু গিমিক সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন অধীর বাবু। পাঁচ বছর এই নাগরিক আইন ঘুমোচ্ছিল। ২০২১ সালে নির্বাচনের আগে একবার জেগে উঠেছিল। আবার নির্বাচন দোরগোড়ায় এই নাগরিক আইন জেগে উঠেছে।
অথচ আইনে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় অত্যাচারে এদেশে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কোন দেশ আছে যারা সেই সার্টিফিকেট(Certificate) লিখে দেবে যে যারা তাদের দেশ ছেড়ে গেছিলেন তারা ধর্মীয় অত্যাচারে গিয়েছিল। অর্থাৎ গোটা ব্যাপারটাই একটা ভুয়া ব্যাপার। ভোটের সময় সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করার লক্ষ্য । এমন ভাবেই সিএএ লাগু প্রসঙ্গে বহরমপুরে(Baharampur) মন্তব্য করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।