নিজস্ব প্রতিনিধি: অধিকারী পরিবার ও তৃণমূলের সম্পর্কে ইতি! অন্তত তৃণমূলের আগামিকালের সাংগঠনিক নির্বাচনে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি দলেরই বর্তমান সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, দলত্যাগী শিশির অধিকারীকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়কাল থেকেই শান্তিকুঞ্জের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। যা ক্রমে তলানিতে ঠেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আচরণে। তাই দলে থেকেও ভোটে ব্রাত্য তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলের সবাই আমন্ত্রণ পেলেও বাদ পড়েছেন একদা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দলত্যাগী সাংসদ শিশির অধিকারী।
এই ব্রাত্য হওয়ার বিষয়ে একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। যার মূলে রয়েছে অভিষেক-শুভেন্দু ঝগড়া। রাজ্যের কুর্শি দখল করতে গিয়ে শুভেন্দু বনাম অভিষেক যে যুযুধান লড়াই রাজ্যবাসী দেখেছিল তা দুই শিবিরের মধ্যে বিস্তর ফাটল তৈরি করেছে। তাই তৃণমূলের কিংবা রাজ্য সরকারের কোনও অনুষ্ঠানেই আর আমন্ত্রিতের তালিকায় থাকতে দেখা যায় না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকে। তাই আগামিকাল তৃণমূলের সাংগাঠনিক নির্বাচনে ডাক পায় নি অধিকারী পরিবারের কেউই। বাদ পড়েছে সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা দলত্যাগী বিধায়করা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। আমন্ত্রিত নন মুকুল রায়।
কারণ বিজেপির তরফে মুকুল রায় সহ বাকি বিধায়কদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্ট ও রাজ্য বিধানসভায়। তাই তৃণমূলের ভোটে অংশগ্রহণ করিয়ে নতুন করে আইনি বিপাক চাইছে না ঘাসফুল শিবির। দূর থেকেই নির্বাচন দেখতে জানানো হয়েছে প্রত্যেক বিধায়ককে।