নিজস্ব প্রতিনিধি: পার্থ-অর্পিতা কাণ্ডে গত কয়েক সপ্তাহজুড়েই সরগরম রয়েছে বাংলার রাজনীতি। আর সেই সরগরমের মূলে রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন(SSC) বা এসএসসির মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির ঘটনা। এবার সেই দুর্নীতিরই নতুন একটি দিক সামনে আনলেন মালদা জেলার সদর শহর ইংরেজবাজার পুরসভার বাসিন্দা এক যুবক। তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। মামলা দায়েরকারী যুবকের নাম অঙ্কন দত্ত(Ankan Dutta)। তিনি ইংরেজবাজার পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবাগ এলাকার বাসিন্দা। অঙ্কন ২০১০ সালে এসএসসি’র ক্লারিকেল পদে নিয়োগের পরীক্ষায় ওবিসি(OBC) কোটায় ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার দেওয়ার পরে তাঁকে জানানো হয় ওবিসি পদে কোনও শূন্যপদ বা ভ্যাকেন্সি নেই। এরপরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে চলতি বছরে মামলা দায়ের করেছেন অঙ্কন।
অঙ্কনের অভিযোগ, ২০১০ সালে ওবিসি পদে ফর্ম পূরণের পরে তিনি সেই বছরই ওই পদের জন্য যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তাতে বসেন। সেই পরীক্ষায় পাশ করে ২০১১ সালে তিনি ওই পদের জন্য ফাইনাল পরীক্ষাতেও বসেন। কিন্তু সেই পরীক্ষার রেজাল্ট তিনি জানতে পারেননি। তাই তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে তাঁকে এই মর্মে কোনও কিছুই না জানানোয় অঙ্কন তথ্য জানার অধিকার সংক্রান্ত আইনে আবেদন জানান। তার জেরে চলতি বছরে এসএসসি’র তরফে তাঁকে জানানো হয় যে ওই পদের জন্য ওবিসিদের জন্য কোনও শূন্যপদ নেই। আর এখানেই অঙ্কনের প্রশ্ন, যদি কোন ভ্যাকেন্সি নাই থাকে তাহলে কেন ফর্ম ফিলাপ করান হল? কেনই বা দু-দুটো পরীক্ষা নেওয়া হল? কার্যত এই দুই প্রশ্ন তুলেই কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ঘটনার জেরে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির(BJP) দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি জানান, ‘এই চাকরিটিও মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই রাতারাতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওবিসি পদে কোন ভ্যাকেন্সি নেই।’ যদিও তৃণমূলের(TMC) মালদা জেলার মুখপাত্র শুভময় পশু জানিয়েছেন, ‘টেকনিক্যাল কারণে হয়তো কোনও ভুল হয়েছে নিশ্চয়ই। এই সমস্যার সমাধান হবে।’ সমস্যার সমাধান আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য অঙ্কনের বাবা-মা রীতিমত সন্দিগ্ধ। গোটা ঘটনার জন্য তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।