নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাঙড় হয়ে উঠেছিল রণক্ষেত্র। সেই ঢেউ আছড়ে পড়েছিল কলকাতার ধর্মতলায়। দেখা গিয়েছিল, এক যুবককে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাচ্ছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। যাকে রক্ষা করছেন, তাঁর হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। আইএসএফ (ISF) বিধায়ক দাবি করেছিলেন, ওই যুবক তাঁর দেহরক্ষী।
নওশাদ সহ ১৯ জনকে আদালতে তোলা হয়েছিল গত রবিবার। বিধায়ক তখন দাবি করেছিলেন, ওই যুবককে রক্ষা করার জন্য তিনি ‘দেহরক্ষী’ বলেছিলেন। আসলে তাঁকে তিনি চেনেন না। মঙ্গলবার গ্রেফতার হলেন সেই অস্ত্রধারী যুবক। তাঁর নাম সৈয়দ আলমগীর হোসেন। ফুটেজ দেখে তাঁকে চিহ্নিত করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃত আসলে বিধায়কের আত্মীয়। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে ওই যুবক জওয়ান। তিনি দু’মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। পুলিশের দাবি, ওই যুবক আইএসএফ কর্মী-ও। বিক্ষোভস্থলে কেন বন্দুক নিয়ে এসেছিলেন আলমগীর, তা জানতে তাঁকে জিজ্ঞাদাবাদ করছে পুলিশ।
অভিযুক্তের বাড়ি খড়গ্রামে। জানা গিয়েছে, গুজরাতের ভাদোদরা সেনাবাহিনীতে তিনি কর্মরত। অন্যদিকে, গত রবিবার ভাঙড় থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর বোমা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই ঘটনায় নতুন করে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৩ আইএসএফ কর্মী। তারপরে ফের মঙ্গলবার ভাঙড়ে গ্রেফতার হলেন ২ আইএসএফ কর্মী। অভিযোগ, গত শনিবার ভাঙড়ে তাঁরা তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন।