নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার আশুতোষ কলেজের কয়েকজন পড়ুয়া ঘুড়তে গিয়েছিল ওড়িশার কেওনঝড়ে। বাড়িতে সবাই জানিয়েছিল, কলেজ থেকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। নিখোঁজ হয়ে যায় এক পড়ুয়া। দিনদুয়েক পর আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) ওড়িশার কেওনঝড় থেকে উদ্ধার বাংলার কলেজ ছাত্রের দেহ। দুঃসংবাদ পৌঁছতেই ছাত্রের বাড়িতে শোকের ছায়া।
ওড়িশার কেওনঝড়ের ঝরনায় পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন দক্ষিণ কলকাতার আশুতোষ কলেজের ছাত্র তারাশংকর সরকার। তার বাড়ি আরামবাগ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জিপাড়ায়। তারাশংকরকে বাঁচাতে গিয়ে তার সাথে পড়ে যায় আরও এক ছাত্র নীলাব্জ। কিন্তু নীলাব্জ কোনওক্রমে একটি পাথরে আটকে কোনওমতে বেঁচে যায়।
গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আশুতোষ কলেজের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ৩৮ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে ওড়িশার কেওনঝড় ও বারবিলে শিক্ষামূলক ভ্রমণে রওনা হন অধ্যাপকরা। কেওনঝড়ে ঝরনার সাথে সেলফি তোলার চেষ্টা করছিল দুই ছাত্র। তাতেই তারা পিছলে ঝরনার জলে পড়ে যায়।
ঘটনাস্থল মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা বলে সন্ধ্যার পর উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এদিন শনিবার (২৫ নভেম্বর) এনডিআরএফ এবং ওড়িশা পুলিশ যৌথভাবে ঝরনায় তল্লাশি চালায়। তারপর অবশেষে তারাশংকরের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নীলাব্জর দাবি, ঝরনার জলে পড়ে যায় তারাশংকর। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে নীলাব্জও জলে পড়ে যায়। সে একটি পাথরে আটকে কোনওভাবে বেঁচে যায়। কিন্তু জলের প্রচণ্ড স্রোতে ভেসে যায় তারাশংকর। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে।