নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশজুড়ে কার্যত কোভিডের সুনামি চলছে। দৈনিক সংক্রমণের হার দেড় লক্ষ পার হয়ে গিয়েছে। তারপরেও কেন্দ্র সরকার হোম আইসোলেশনের নিয়ম বদল করেছে। সেই বদলের সঙ্গেই সামঞ্জস্য রেখে এবার বাংলাতেও হোম আইসোলেশনের নিয়ম বদল করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, হোম আইসোলেশন অথবা কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিত্সাধীন মৃদু উপসর্গ থাকা কোভিডভ রোগীদের ক্ষেত্রে পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর ৭ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এর মধ্যে টানা তিন দিন জ্বর না এলে ৭ দিনেই আইসোলেশন শেষ হয়ে যাবে। ৭ দিন আইসোলেশনের পর উপসর্গহীনদের দ্বিতীয়বার পরীক্ষাও করাতে হবে না। মৃদু উপসর্গ ছাড়াও যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া পরপর ৩ দিন স্যাচুরেশনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের বেশি হলে ৭ দিন পরই শেষ হয়ে যাবে আইসোলেশন। তবে যে সমস্ত করোনা রোগীদের অক্সিজেনের সাহায্য প্রয়োজন, তাদের ক্ষেত্রে আইসোলেশন কবে শেষ হবে, তা স্থির করবেন চিকিৎসকরা।
তবে এই বদল নিয়ে কিছুটা হলেও আশঙ্কা ছবি দেখা যাচ্ছে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহলে। তাঁদের দাবি, এমনিতেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যখন দেশে আছড়ে পড়েছে তখনও একশ্রেনীর মানুষের মধ্যে কোভিডকে নিয়ে বিন্দুমাত্র সচেতন না হওয়ার ছবি সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় হোম আইসোলেশনের দিন কমিয়ে দিলে কোভিডকে আর কেউ ভয়ই পাবে না। আর সেটা কিন্তু ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের অপর একটি মহলের দাবি, কোভিড এখন সাধারন মরশুমি সর্দি-জ্বরের জায়গায় চলে এসেছে। তৃতীয় ঢেউয়ে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের সেভাবে অক্সিজেনের অভাবও অনুভূত হচ্ছে না। এই অবস্থায় হোম আইসোলেশনের দিন কমিয়ে দিলে খুব একটা কিছু অসুবিধা হবে না। বরং কোভিডকে ঘিরে এখনও সমাজে যে বাছবিচার রয়ে গিয়েছে তা অনেকটাই কমে যাবে।