এই মুহূর্তে




তিন শতাব্দী পার করা রামপুরহাটের মণ্ডল বাড়ির পুজো

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূম জেলার(Birbhum District) অন্যতম মহকুমা ও প্রাচীন শহর হল রামপুরহাট(Rampurhat)। নেকে এবার একে জেলার রেল শহরও বলে থাকেন। সেই রামপুরহাট শহরের শিবতলা এলাকাতেই ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মণ্ডল বাড়িতে সপরিবারে পুজো(Mondol Family Durga Puja) পেয়ে আসছেন মা দুর্গা। ঠিক কোন বছর এই পুজোর সূচনা ঘটে তা নিয়ে মতভেদ থাকলেও, বংশের ১১ পুরুষ ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। তবে পুজোর বয়স যে ৩০০ বছর ছাড়িয়ে গিয়েছে, সেই নিয়ে মণ্ডল পরিবারের সকলেই একমত। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, পরিবারের দুই পূর্বপুরুষ মধুসূদন মণ্ডল ও সূর্যকান্ত মণ্ডল এই পুজোর সূচনা করেন। মূলত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাথাচাড়া দেওয়া অসুস্থতা এবং ব্যবসার মন্দা কাটাতে দেবী দুর্গার শরণাপন্ন হন দুই ভাই। পরিবারের দাবি, পুজো শুরু হওয়ার পরে সেই দুই সমস্যারই মুক্তি ঘটে। 

মণ্ডল পরিবারের সদস্যদের দাবি, কোনও এক বছর ব্যবসায় মন্দা গিয়েছিল মণ্ডল পরিবারের। শারীরিক অবস্থাও ভাল যাচ্ছিল না দুই ভাইয়ের। নিজেদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি এবং ব্যবসায় মন্দাদশা কাটাতে পুজো শুরু করেছিলেন তাঁরা। পুজোর পরেই তাঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। মন্দা দশা কাটে ব্যবসায়। সেই থেকে আজও বহু ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে পুজো হয়ে আসছে মণ্ডল বাড়িতে। এখন পরিবারের সদস্যরা পালা করে পুজো করেন। পুজো শুরু করার আগে মধুসূদন ও সূর্যকান্ত মুদিখানার ব্যবসা করতেন। তাঁদের জমিদারিও ছিল এলাকায়। তাঁরা মূলত মুদিখানার জিনিসপত্র আমদানি-রফতানি করতেন। একসময় তাঁদের ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়। একইসঙ্গে তাঁদের শারীরিক অবস্থাও ভাল যাচ্ছিল না। তখনই স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেন মধুসূদন। পুজো শুরু করতেই ধীরে ধীরে ব্যবসায় মন্দা দশা কেটে গিয়ে উন্নতি হতে শুরু করে। শারীরিক দিক থেকেও তাঁরা সুস্থ হতে শুরু করেন। তবে খুব বেশিদিন পুজো চালিয়ে যেতে পারেননি মধুসূদন। কারণ, পুজো শুরুর কয়েক বছর পর দশমী পুজোর দিন প্রণাম করতে গিয়ে আবেগের বশে ঘট জড়িয়ে ধরে মারা যান মধুসূদন। তারপরই পুজোর হাল ধরেন ভাই সূর্যকান্ত।

একসময় এই বাড়ির পুজো হতো সামিয়ানা টাঙিয়ে। নবমীর দিন ভোগ খাওয়ানো হত এলাকার সকলকে। দশমীর বিকেলে শহরের চালধোয়ানী পুকুরে ধান-চালের সারা বছরের দরদাম করা হত। তারপরই শঙ্খচিল দেখে ঢাক বাজিয়ে গরু ছোটানো হতো। এখনও সেই রীতি বজায় রয়েছে। তবে আকাশে আর শঙ্খচিল দেখা যায় না। মাথার ওপর যে কোনও পাখিকে উড়তে দেখলেই তাকেই শঙ্খচিল ধরে নিয়ে ঢাক বাজিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় আতসবাজি পোড়ানো। ঢাক ও আতাস বাজির শব্দে প্রাণপনে ছুটতে থাকে গরু। তবে আগের মতো গরু আর আসে না। ঢাকিদের আগে পুরস্কৃত করা হলেও এখন সে সব অতীত। তবে দেবীর পুজোয় কোনও প্রথার ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন সাধন হয়নি। দেবীর ভোগেও তাই একই রকমের নিয়ম রাখা আছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দশমীতে ইছামতীর তীরে জমজমাট এক দিনের বউ মেলা, তবে নিষিদ্ধ পুরুষ ক্রেতা

ফরিদপুরে একই মণ্ডপে ২৫১ দুর্গা প্রতিমা দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়

পুজো শেষে দুপুরে জমিয়ে খান ওল-চিংড়ি: সহজ রেসিপিতে রসনা তৃপ্তি করুন ঘরেই

মুম্বইতে দুর্গার বিদায় পর্বে জমিয়ে সিঁদুর খেললেন রানি-কাজলরা

৩০০ বছর ধরে সিংহবাহিনী দেবী রূপে পুজিতা হয়ে আসছেন এই রাজবাড়িতে

পান্তা ভাত-কচু শাক খেয়ে কৈলাসে পাড়ি দেন এই বনেদি বাড়ির উমা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর