এই মুহূর্তে




তোলাবাজি থেকে মস্তানি, খুন থেকে ধর্ষণ, সিভিক ভলান্টিয়াররাই মুখ পোড়াচ্ছে রাজ্যের




নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশ(Police) না হয়েও পুলিশ বাহিনীরই অংশ হয়ে গিয়েছে বাংলার(Bengal) সিভিক ভলান্টিয়াররা(Civic Volunteer)। এই নিয়ে বিরোধীরা বার বার সরহ হয়েছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু ছবিতে বদল আসেনি। রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) সিভিক ভলান্টিয়ারদের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের বেশ কিছু সুযোগ-সবিধা। বাড়ানো হচ্ছে তাঁদের বেতনও। তারপরও একশ্রেনীর সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বার বার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। আর জি কর কাণ্ডে নতুন করে সেই অস্বস্তি আবারও সামনে চলে এসেছে। আর জি কর কাণ্ডের ধৃত সঞ্জয় রায় নাকি কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার, এমন তথ্য উঠে আসছিল তার গ্রেফতারির পর থেকেই। সেই তথ্য যে ভুল এমন কথা কিন্তু বলেননি কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিল সঞ্জয় সিভিক ভলান্টিয়ার কিনা। সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি বিনীত। তবে নাও বলেননি। খালি জানান, ‘ওর একটাই পরিচয়, ক্রিমিন্যাল।’

আরও পড়ুন, গৃহস্থের বাড়ির Plan Sanction-এ ৫০ শতাংশের ছাড় কলকাতা পুরনিগমের

বস্তুত বাংলার বুকে পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে যেভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে, সারা দেশে তার দ্বিতীয়টি কোনও রাজ্যে দেখতে পাওয়া যাবে না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের পদ তৈরি হওয়ার পরে বহু যুবক-যুবতীর সেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে এটা ঠিক কথা। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ারদের একশ্রেনীর কার্যকলাপ বার বার অস্বস্তিতে ফেলছে রাজ্য সরকারকে। কারও বিরুদ্ধে উঠছে মস্তানির অভিযোগ, কারও বিরুদ্ধে উঠছে তোলাবাজির অভিযোগ, কারও বিরুদ্ধে উঠছে জমি-বাড়ি দখলের অভিযোগ, কেউ কেউ তো চুরি-ডাকাতি-অপহরণের ঘটনার সঙ্গেও জড়িয়ে যাচ্ছে। এমনকি খুন ধর্ষণের মতোও অভিযোগ উঠছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। আর পথচলতি সাধারণ মানুষকে হেনস্থা থেকে তাঁদের মারধরের তো গুচ্ছের অভিযোগ ওঠে নিত্যদিনই। যদিও আর জি করের ঘটনা সেই সব নৃশংসতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এখন নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ঠিক মতো ব্যবহারই করছে না পুলিশ।

আরও পড়ুন, বঙ্গভঙ্গ ইস্যুর পরে আর জি কর ইস্যুতেও শুভেন্দুর অভিমতে গুরুত্ব মমতার

গত বছরের মার্চ মাসে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না। তা নিয়ে রীতিমত সার্কুলারও জারি হয়েছিল। কিন্তু ছবি বদলায়নি। সিভিক ভলান্টিয়াররা কী কাজ করতে পারবেন বা তাঁদের কোন কোন কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া যাবে এসব নিয়েই বিস্তারিত একটি গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। সেই নির্দেশ মেনেই গতবছর মার্চ মাসে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য গাইডলাইন জারি করে রাজ্য সরকার। সেই গাইডলাইনে বলা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না। তাঁরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের সহায়তা করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন উৎসবের সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও তাঁদের কাজে লাগানো যাবে। এছাড়াও রাস্তার ধারের বেআইনি পার্কিং রুখতেও নজরদারি চালাতে পারবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই সব কাজের বাইরেও সিভিকদের দিয়ে এমন কিছু কাজ করানো হচ্ছে যা সমস্যা কমানো অপেক্ষা বাড়িয়ে দিচ্ছে। পুলিশ আধিকারিকদের এই সিভিকদের প্রতি মদত থাকার সুবাদে একশ্রেনী সিভিক ভলান্টিয়ার যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। আর সেই সঙ্গে মুখ পোড়াচ্ছে রাজ্য সরকারেরও।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার চতুর্থীতে অসুর হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি, সঙ্গে রাখুন ছাতা

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

চাহিদা তুঙ্গে, বর্ধমান থেকে মালয়েশিয়ায় গেল জামদানি

মাত্র ৯৯৯ টাকা ! পুজোয় ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে, মিলবে একাধিক সুবিধা

বন্ধ বেলুড় মঠ জেটি ঘাট, একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে লঞ্চ কর্মীরা

কেঁচো খুড়তে কেউটে! অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে কোটি কোটি প্রতারণা চক্রের হদিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর