নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: বয়স মাত্র ১০ বছর। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। মেয়েকে দেখতে না পেয়েই পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আর রাতের দিকে ঘরেরই রান্নাঘরে ওই চতুর্থশ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় বাবা-মা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ৫ নম্বর সারতা অঞ্চলের বীরকোটা গ্রামের। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
তবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যার ঘটনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম মাম্পি খাটুয়া (১০)। বাবার নাম পূর্ণচন্দ্র খাটুয়া এবং মায়ের নাম বিষ্ণুপ্রিয়া খাটুয়া। রবিবার বিকেলে খেলতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই বালিকা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁরা কোনও সন্ধান পায়নি মাম্পির। রাতের দিকে রান্নাঘরে ঢুকতেই চমকে যান বিষ্ণুপ্রিয়া। রান্নাঘরেই ওই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে সবং থানার পুলিস ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহটি পাঠিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে ১০ বছরের নাবালিকা কীভাবে আত্মহত্যা করে। পরিবারের দাবি, এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে। সবং থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই বলা যাবে এটি খুন না আত্মহত্যার ঘটনা। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে সবং থানার পুলিশ।