এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গম চাষিদের চোখের জল ফেলতে হয়েছিল, উদয়নকে কটাক্ষ মিহিরের

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুইজনই কোচবিহার(Coachbehar) জেলার ভূমিপুত্র। একজন ছিলেন বামপন্থী, পরে দলবদলু হয়ে রূপান্তর হয়েছেন তৃণমূলে(TMC), অন্যজন ছিলেন তৃণমূলে, দলবদল করে চলে গিয়েছে বিজেপিতে(BJP)। প্রথমজন ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন। অপরজনকে বিধায়ক হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। সেই জ্বালা থেকেই বোধহয় এবার প্রথমজনকে কটাক্ষ হানলেন দ্বিতীয়জন। মনে করিয়ে দিলেন অতীতের কথা। যদিও তা পাত্তা দিতে নারাজ প্রথমজন। নজরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ(Udayan Guha) ও বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী(Mihir Goswami)। শনিবার উদয়ন দলের এক সভায় সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন দলেরই নেতাদের। সেই প্রসঙ্গেই রবিবার তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ হেনেছেন মিহির। যদিও তা ধার্তব্যের মধ্যে আনছেন না উদয়ন। তবে দুইজনের এই তরজায় কোচবিহারের রাজনীতি বেশ সরগরম হয়ে গিয়েছে।

শনিবার দিনহাটার চৌধুরীহাটে দলেরই এক সভা থেকে উদয়ন কড়া বার্তা দেন দলের নেতাদের। তিনি বলেছিলেন, ‘ঠিকাদারদের থেকে টাকা নেওয়া যাবে না। পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা হচ্ছে। তাদের নাম জানতে পারলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। বিবেকবান না হলে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাওয়া যাবে না। মেনে চলতে হবে শৃঙ্খলা।’ সেই প্রসঙ্গেই রবিবার উদয়নকে বিঁধেছেন মিহির। তিনি বলেন, ‘আহা, এ যেন ভূতের মুখো রাম নাম। চোরের মন সবসময় পুলিশ পুলিশ। বামফ্রন্টে থাকাকালীন সীমান্ত এলাকার সমস্ত সমস্ত সমাজ বিরোধীদের সঙ্গে উদয়ন বাবুর যোগাযোগ ছিল। এই বিষয়ে গোটা দিনহাটার মানুষের জানা আছে। তাই তাঁর ভয়ের কারণ থাকতেই পারে। উদয়নবাবু বামফ্রন্টে থাকাকালীন তাঁর পিতার মন্ত্রিত্বের সুযোগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বীজ নিগমের বীজ সাপ্লাই করেছিলেন, যে বীজে কোনও ফসল হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের সব গম চাষিদের চোখের জল ফেলতে হয়েছিল এবং বাংলার হাজার হাজার চাষিকে সেই গমের চাষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হয়েছিল। ভুলে গেলেন নাকি সে সব কথা।’

এখানেই থেমে যাননি মিহিরবাবু। তিনি আরও বলেন, ‘উদয়নবাবু কী দিনহাটায় পুলিশের গুলিতে পাঁচ জন ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মী মারা যাওয়ার ঘটনাও ভুলে গিয়েছেন? তৎকালীন বাম সরকার এই নিয়ে কমিশন গঠন করে। সেই শীল কমিশনের রিপোর্টেও উদয়ান গুহর নাম রয়েছে। এখন সব ধোয়া তুলসিপাতা সাজতে চাইছে। কিন্তু মনে রেখো বাছা, পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ উদয়ন গুহ অবশ্য মিহির গোস্বামীর এহেন আক্রমণকে কোনও গুরুত্বই দিতে চাননি। তাঁর অভিমত, ‘ওনার কথার কী গুরুত্ব দেব? কোনও রাজনৈতিক গুরুত্বই নেই। উনি নিজেকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন। এছাড়া তো ওনার নাম নিয়ে কোথাও আলোচনা হয় না। তাই আমার বিরুদ্ধে বলে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করেন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ঝড়ে বাড়ি হারানো পরিবারদের ৩ দফায় আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর

জাজপুরের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যাচ্ছেন সুজিত

১৪’র ভোটে হারা প্রার্থীকেই ফের অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড় করাল বিজেপি

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের হুমকি বিজেপি নেত্রীর, অস্বস্তিতে পদ্মশিবির

জাজপুরের দুর্ঘটনা নিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শান্তিপুরে রক্ত পরীক্ষা করার ল্যাবের রিপোর্টের প্যাড নকল করার অভিযোগ, এলাকায় চঞ্চল্য

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর