নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা দু বছর কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতি থাকায় কোনওরকমে নমো নমো করে কেটেছে দুর্গা পুজো। যে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে, ছুটিছাটা পেলে বেড়াতে বের হয়ে যায়, তাদেরকে কার্যত ঘরবন্দি হয়ে কাটাতে হয়েছে পুজো। দু বছর পর এ বছর সাড়ম্বরে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে পালিত হচ্ছে দুর্গা পুজোর উৎসব। তাই এ বছর দিঘার সৈকতে পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করছে প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তাদের হোটেলের সব রুম বুকিং হয়ে গিয়েছে। এমনকি বহু হোটেল ভাড়া বেশি চেয়ে রুম বুকিং পেয়েছে। পুজোর দিনগুলির জন্য দিঘার পাশাপাশি শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনির প্রায় সব হোটেলের বুকিং সম্পূর্ন বলে জান গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন আশা করছে, এ বছর পুজোর দিনগুলিতে সমুদ্র সৈকতে দৈনিক ৩৫-৪০ হাজার পর্যটক আসতে পারেন। তাই অক্টোবরের প্রথম দশ দিন দীঘায় অতিভিড় হবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। আর এখানেই লাভের সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। করোনার কারণে গত দু বছরের ক্ষতি এবারে পুষিয়ে যাবে বলে মত তাদের।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, করোনা অতিমারির আগে সারা বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ পর্যটক দিঘায় আসতেন। এ বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা ৩০ লাখ ছোঁবে বলে আশা তাদের। তবে ভিড় বেশি হলে প্রশাসনের কাছে তা সামলানো চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। এমনিতেই দিঘার সৈকতের ধার বরাবর সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। পাশাপাশি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় যাতে কেউ সমুদ্রে নামতে না পারে, সৈকতে কোনও অপরাধমূলক কাজ যাতে কেউ করতে না পারে, সেদিকে প্রশাসনের তরফে কড়া নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।