নিজস্ব প্রতিনিধি: চোখ রাঙাচ্ছে গুলাব। এর মাঝেই হাজির আরও একটি নিম্নচাপ, যা আগামী সোমবারে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তাই আজ থেকে সতর্ক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই অন্ধ্রের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ‘গুলাব’ যার প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র, দিঘা ও মন্দারমনিতে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। মাইকিং চলছে ও দিঘা, মন্দারমণি থেকে দ্রুত সরানো হচ্ছে পর্যটকদের। আগামী সোমবারের মধ্যে দিঘাকে পর্যটক শুন্য করার কড়া নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কেউ যদি নতুন করে আজ বা কাল দিঘা প্রবেশ করে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় গুলাবের প্রভাব রাজ্য সরাসরি পড়ছে না, কিন্তু উপকূলে সতর্কতা রয়েছে। দিঘা, মন্দারমণিতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা ও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে, যেহেতু গভীর নিম্নচাপ রয়েছে সাগরে। প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাসে ফের জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ আসার আগেই তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দিঘা উপকূলেও জারি হয়েছে সতর্কতা। বিভিন্ন থানার তরফে উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। মত্স্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সমস্ত ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।’ রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দিঘা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হোটেলগুলিকে নতুন করে বুকিং নিতে নিষেধ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এই বিষয়ে জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি জানিয়েছেন, ‘পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নজর এড়িয়ে সমুদ্রে নেমে যাতে কারও জীবনহানি না হয় তারই আগাম সতর্কতা হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দিঘা জুড়ে মাইকে প্রচার করে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে।’
সমস্ত মৎস্যজীবিরা ফিরেছে সমুদ্র থেকে। বিশেষ করে নজর দেওয়া হচ্ছে কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর,পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা, কুলতলি, ক্যানিং, বাসন্তী-সহ বন্দর এলাকায় তৎপর প্রশাসন। সকলকেই নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পঞ্চায়েত দফতরের তরফে শুকনো খাবার, জলের পাউচ, ত্রিপল মজুত করা হচ্ছে।