নিজস্ব প্রতিনিধি: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল বাংলার চার শ্রমিকের। কিন্তু তাঁদের দেহ ফিরিয়ে আনার সামর্থ্য তাঁদের পরিবারের নেই। আর সেই কারণে তাঁরা চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের রোজগারে তাঁদের সংসার চলত। আচমকাই তাঁদের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে অথৈ জলে পড়েছে পরিবারগুলি। দেহ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এই পরিযায়ী শ্রমিকগুলির পরিবার চাইছেন তাঁদের বেঁচে থাকার জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার একটি স্থায়ী রোজগারের ব্যবস্থা করে দিক।
একটি বেসরকারি সংস্থার কাজে ৫ মার্চ কেরলে যায় ১০ জন শ্রমিকের একটি দল। অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের আসুদি গ্রাম থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন। হরিণঘাটা থেকেও কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিক ওই দলে ছিলেন। শুক্রবার কর্মক্ষেত্রে মাটি কাটার সময় আচমকা ধস নামে। আর এর জেরে মাটি চাপা পড়ে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এই ধসে আরও দু’জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে মৃত চার শ্রমিকের মধ্যে তিন জন উত্তর চব্বিশ পরগণা ও একজন নদিয়া জেলার বাসিন্দা। মৃত চার পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে তিন জনের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার অশোকনগর থানা এলাকার আসুদি গ্রামে। অপর এক শ্রমিকের বাড়ি নদিয়া জেলার হরিণঘাটা থানা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের নাম যথাক্রমে কুদ্দুস মণ্ডল, নজ্জেস আলি, নুর আমিন মণ্ডল এবং ফয়জুল মণ্ডল।
শুক্রবার রাতে এই চার পরিয়ায়ী শ্রমিকের মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছায় বাড়িতে। চার শ্রমিকের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। শ্রমিকদের দেহ কী করে ফেরানো হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তাঁদের পরিবার। আগামীদিনে কীভাবে চলবে সংসার তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বেঁচে থাকতে রাজ্য সরকার পাশে থাকবে এটাই আশা করছেন পরিবারগুলি। ইতিমধ্যে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে কেরল সরকার। পাশাপাশি ওই দূর্ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কেরলের শ্রমমন্ত্রী ভি শিবণ কুট্টি।