এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দার্জিলিংয়ে বসতে চলেছে জি-২০ ট্যুরিজিম বৈঠক, খুশি নবান্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) জন্য অবশ্যই সুখবর। ভাল খবর রাজ্যের পর্যটন শিল্পের জন্যও। কেননা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে হিমালয়ের রানি, বাংলার শৈলশহর দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) বুকে বসতে চলেছে জি-২০ গ্রুপের পর্যটন সামিট(G-20 Tourism Summit)। সেখানে ২০টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ছাড়াও অংশ নেবেন আমন্ত্রিত আরও ৯টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সাম্প্রতিককালে বাংলার বুকে এটাই হতে চলেছে সব থেকে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। দার্জিলিংয়ের বুকে প্রথম তো বটেই। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল এই ৩দিন ধরে দার্জিলিং শহরে চলবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আর এই সম্মেলনের হাত ধরেই বাংলার পর্যটন শিল্পে জোয়ার আসবে বলেই আশাবাদী রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। একই সঙ্গে এই ঘটনায় কিন্তু আবার সামনে চলে এল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সুসম্পর্কের বিষয়টি।

আরও পড়ুন ৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই মেটাতে হবে ডিএ, নির্দেশ হাইকোর্টের

জি-২০ গ্রুপে ভারত(India) ছাড়াও যে ১৯টি দেশ রয়েছে তার মধ্যে আছে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী ৫টি সদস্য দেশও। অর্থাৎ এই গ্রুপে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চিন। অনান্য দেশগুলির মধ্যে আছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মেক্সিকো, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্ক। এই গ্রুপের সদস্য হিসাবে রয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়নও। এই ২০টি দেশ তথা ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন জি-২০ গ্রুপের পর্যটন সামিটে। এর পাশাপাশি বিশেষ আমন্ত্রিত দেশের সদস্য হিসাবে থাকছেন বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ড, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং আরব আমিরশাহীর প্রতিনিধিরাও। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্যই হল সদস্য ১৯টি দেশ, ১টি ইউনিয়ন এবং আমন্ত্রিত দেশগুলিতে এমন ভাবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানো যাতে তার প্রভাব ওই সব দেশের অর্থনীতিতেও পড়ে। সামাজিক ভাবে দেশগুলি যেন পর্যটন শিল্পকে আঁকড়ে ধরে উন্নয়নের মুখ দেখতে পারে। উল্লেখ্য, মূল জি-২০ সামিট আগামী বছর ভারতেই বসতে চলেছে। সেই বৈঠক হবে নয়া দিল্লিতে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর।

আরও পড়ুন ‘শান্তিকুঞ্জ’-এ কী পড়বে অভিষেকের পা, তাকিয়ে আছে বাংলা

উল্লেখ্য, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে জি-২০-এর সদস্য রাষ্ট্ররা। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এই রাষ্ট্রগুলিরই দখলে। সেই জি-২০ গ্রুপের পর্যটন বিষয়ক সামিট যদি দার্জিলিং শহরের বুকে ঠিকঠাক ভাবে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তাতে পাহাড়ের পর্যটন বিকাশের ক্ষেত্রেও তা অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে। লাভবান হবে ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প এবং বাংলার পর্যটন শিল্পও। এই আন্তর্জাতিক বৈঠকের হাত ধরে পাহাড়ে পর্যটকদের আগমন বাড়বে বলেই মনে করছেন দার্জিলিঙের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে পাহাড়ে যে আগুন লেগেছিল তার জেরে আন্তর্জাতিক মহলে দার্জিলিংকে নিয়ে ভুল বার্তা গিয়েছিল। তাতে পাহাড়ে বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু এখন জি-২০ বৈঠকের হাত ধরে সেই বিদেশী পর্যটকদের আবারও ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরাও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭০০০ পাতার চার্জশিট জমা ইডির

হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়

‘বিচারপতির কলঙ্ক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গো ব্যাক’, পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ ময়না

‘মোদি জিতলে দেশে আর গণতন্ত্র থাকবে না’, আশঙ্কা প্রকাশ মমতার

দই বা ঘুগনি নয়, সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে নতুন ধরনের জলখাবার খেলেন রচনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর