এই মুহূর্তে

কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী, গাজোলে হচ্ছে আবাসিক আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister of Bengal) যা বলেন তা করেও দেখান। তিনি কথা দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের(North Bengal) মালদা(Malda) জেলার গাজোলে(Gajole) আদিবাসীদের জন্য আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়(Residential High School for Tribals) গড়ে দেবেন। সেই ঘোষণা মোতাবেক এবার সেই স্কুল গড়ার কাজে হাত দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। এই আবাসিক বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য এখন সেখানে জমির খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা এ ব্যাপারে কালবিলম্ব করতে চাইছেন না। স্কুলের জায়গা চিহ্নিত করতে শীঘ্রই মালদার জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া গাজোলে যাবেন।   

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন ৫ কোটি, তাতেই সাজছে জল্পেশ মন্দির

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গাজোলের এই আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সাঁওতালি মাধ্যমে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদ্যালয়টিতে হস্টেল, খেলার মাঠ সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রায় ৫ একর জমির প্রয়োজন। ওই পরিমাণ জমি কোথায় রয়েছে, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে জেলা প্রশাসন। মালদার যেসব ব্লকে আদিবাসী জনজাতির বসবাস বেশি রয়েছে, গাজোল তারমধ্যে অন্যতম। গাজোল লাগোয়া হবিবপুর, বামনগোলা এলাকাতেও বহু আদিবাসী মানুষ বাস করেন। তাছাড়া গাজোল ব্লকটির অবস্থান মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংযোগস্থলে। ওই দুই জেলাতেও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ফলে গাজোলে আবাসিক বিদ্যালয় গড়ে উঠলে কার্যত ৩ জেলার মানুষেরই সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন ৩৬ হাজার মানুষের চাকরিতে ধাক্কা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

মালদা জেলায় বর্তমানে আদিবাসীদের জন্য বড় কোনও আবাসিক বিদ্যালয় নেই। ফলে সাঁওতালি মাধ্যমের পঠনপাঠন অনেকাংশে ব্যাহত হচ্ছে। সেই কারণে উচ্চশিক্ষা থেকে বহু ছাত্রছাত্রী বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ, তাঁদের যথেষ্ট মেধা রয়েছে বলে শিক্ষকমহলের অভিমত। সেই কারণে আদিবাসীদের জন্য জেলায় উন্নতমানের আবাসিক বিদ্যালয় প্রয়োজন ছিল বলে শিক্ষামহল মনে করছে। বিষয়টি নিয়ে যে রাজ্য সরকারও চিন্তাভাবনা করেছে তা মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই পরিষ্কার হয়ে যায়। সম্প্রতি জেলা সফরে এসে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর তিনি জোর দেন। ফলে এখন জমি পাওয়া গেলেই বিদ্যালয় তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর