নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের চিকিৎসক ভাগ্নির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বুধবার খড়গপুরে একটি কোয়ার্টার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম স্বাগতা ভট্টাচার্য। আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা তিনি। সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের ভাগ্নি তিনি। দীর্ঘদিন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এসএসকেএম’এর অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপিকা ছিলেন স্বাগতা। ৫ বছর আগে বিয়েও করেন। কিন্তু সম্পর্কে বনিবনা না হওয়ায় ৬ মাস আগে বিচ্ছেদ হয়। এর মাঝে বছর খানেক আগে খড়গপুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বদলি হন। সেখানেই মায়ের সঙ্গে আইআইটি ক্যাম্পাসে কোয়ার্টারে থাকছিলেন স্বাগতা।
পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে স্বাগতা তাঁর মাকে বাজারে যেতে বলেছিলেন। মা বাজারের উদ্দেশে বেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু স্বাগতাকে ফোনে পাননি। এর পর বাড়ি ফিরে বহু ডাকাডাকি করেও মেয়ের কোনও সাড়াশব্দ পাননি। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। কোনও সাড়া না পেয়ে কোয়ার্টারের জানলা থেকে ঘরের মধ্যে দেখার চেষ্টা করলে তিনি দেখতে পান, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে স্বাগতার দেহ। ঘটনার খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘আমি কোনও সঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। কোনও কারণে হয়তো মানসিক অবসাদ হয়েছিল। আমি আইআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব’। তিনি আরও বলেন, ‘এই মৃত্যু আমার কাছে অত্যন্ত মর্মান্তিক। ও আমার নিজের ভাগ্নী। খুবই কৃতী ছাত্রী ছিল। অধ্যাপক হিসেবেও অনেক সুনাম। পিজিতে তিন বছর অধ্যাপিকা ছিল। তারপর খড়গপুর আইআইটির মতো জায়গায় সুযোগ পেয়ে, এখানেও অধ্যাপনা করছিল’।