31ºc, Haze
Sunday, 2nd April, 2023 6:02 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাঙড়ে সিপিএমের মিছিলে অনুমতি দিল না পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সোমবার মিছিল করতে চেয়েছিল সিপিএম। কিন্তু সেই প্রতিবাদ মিছিলে অনুমতি দিল না পুলিশ। অন্যদিকে ভাঙড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও এক আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আইএসএফ কর্মীর নাম আরাবুল মোল্লা। মাঝেরহাট এলাকার বাসিন্দা তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন কলকাতা পুলিশের একটি দল কাশীপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আরাবুল মোল্লাকে গ্রেফতার করে। ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। সে দিনের ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে গ্রেফতার।
উল্লেখ্য গত ২১ জানুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে তিন জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিনের ছবি ও সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন ফুটেজ খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এবং কাশিপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযানে নামে। সেই তল্লাশি অভিযানে নেমে কাশিপুর থানা এলাকার সাতুলিয়া, নাংলা এবং আলাকুলিয়া থেকে তিন জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। ২১ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় সমাবেশ ছিল আইএসএফ এর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে সেই সমাবেশে আসার পথে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। পরে ওইদিন ধর্মতলায় সমাবেশ থেকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ দলের ১৯ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। রবিবার তাঁদেরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে নওশাদ-সহ বাকি আইএসএফ নেতা কর্মীরা জামিনের আবেদন জানান। মামলার শুনানি শেষে বিচারক ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি আইএসএফ কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন।