নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা, রবি সকালেই রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় ভোটগ্রহণ। আর সেই ভোটকে কেন্দ্র করে কড়া নজরদারি রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(State election commison)। কড়া পুলিশি পাহাড়ায় রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় প্রায় দু’হাজারের বেশি ওয়ার্ডে রবিবার অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি চলবে ভোটগ্রহণ। প্রত্যেক পুরসভায় শান্তিপূর্ণ ভোট হোক এটাই চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নিয়ে দলীয় মুখপত্রে বিশেষ বার্তা দিয়ে জেলায় জেয়ায় পাঠিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার সকালেই ‘জাগোবাংলা’য়(Jago bangla) নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে উৎসবের মেজাজে ভোট হোক এবং বাড়তি ভোটের জন্য অতি উৎসাহে এমনকিছু করবেন না যাতে বিতর্ক হয়। বিরোধীরা জানে তারা হারবেই, তাই প্রচারে থাকতে প্ররোচনা দিয়ে নাটক করতে পারে। কোনওভাবেই এইসব প্ররোচনায় পা দেবেন না এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের।
কলকাতা ও চার পুরনিগমের ভোটে শান্ত পরিবেশেই ভোট হয়েছে বলে জানা রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগে কান দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রাজ্য প্রশাসনের লক্ষ্য ১০৮ পুরসভায় নির্বিঘ্নে ভোট হোক। তাই ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগেই ‘জাগোবাংলা'(Jago bangla)-এর মাধ্যমে নির্দেশিকা পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেস। যাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘প্রতি বুথে যথাযথভাবে স্থানীয় এজেন্ট রাখুন। যে বা যাঁরা এলাকার ঠিকানা ধরে ধরে সব ভোটার ও বাড়ি চেনেন তাঁদের বসান এজেন্ট হিসেবে। দলের ক্যাম্প অফিসেও স্থানীয় পরিচিত সক্রিয় কর্মী রাখুন। ভোটারদের উৎসাহিত করতে হবে। তারা যেন এসে ভোটটা দিয়ে যায়। পরে অন্য কাজ হবে।’
তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘জাগোবাংলা'(Jago bangla)তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘অবাধ, গণতান্ত্রিক পরিবেশে উৎসবের মেজাজে যেন ভোট হয়। কাজ ও পরিষেবার ভিত্তিতে তৃণমূলকে ভোট দেবে মানুষ। বাড়তি ভোটের জন্য অতি উৎসাহে এমন কিছু করবেন না যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, এটা মিডিয়া ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। হাতে হাতে ক্যামেরা। এমন কোনও আচরণ করবেন না যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে কুৎসা হতে পারে।’