নিজস্ব প্রতিনিধি: মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মিরাজ শেখ। তিনি প্রায় ৪ মাস চাকরি করেছিলেন। তারপর তাঁর চাকরি হঠাৎ করে বাতিল করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলায় তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দিলেন হাইকোর্টের (KOLKATA HIGH COURT) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (MANIK BHATTYACHARYA) উদ্দেশ্য করে চূড়ান্ত কটাক্ষ করেন বিচারপতি (JUSTICE)
মানিক ভট্টাচার্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে হয়তো টাকা দেননি মামলাকারী, তাই চাকরি গিয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বাংলা এমন একটা রাজ্য হয়েছে যেখানে টাকা না দিলে চাকরি হয় না। উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (ABHIJIT GANGOPADHAY) নির্দেশেই পর্ষদ সভাপতির পদ গিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের।
মুর্শিদাবাদের একটি প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ৪ মাস শিক্ষকতা করেছিলেন মিরাজ। তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। তবে তাঁর সার্ভিস বুক তৈরি করার সময় তাঁর চাকরি বাতিল করে পর্ষদ। বলা হয়, সংরক্ষিত পদে চাকরি করার জন্য যে প্রাপ্ত নম্বর থাকা উচিত, তা নেই মিরাজের। ৬ মাস চাকরি গিয়েছিল তাঁর। তারপর সেই চাকরি ফিরিয়ে দিল আদালত। আদালতের প্রশ্ন, ৪ মাস পরে কী ভাবে চাকরি বাতিল করতে পারে পর্ষদ? আরও প্রশ্ন, নিয়ম না থাকলে আবেদনপত্র গ্রাহ্য হয়েছিল কী করে? প্রশ্ন, তখন কী ঠিক করে সমস্ত মার্কশিট ও শংসাপত্র খতিয়ে দেখা হয়নি? মিরাজের আইনজীবীর দাবি, এনসিটি নিয়ম অনুযায়ী নম্বর সহ সবকিছুই ঠিক আছে। চাকরি কেড়ে নেওয়া নিয়ে গ্রহণযোগ্য কারণ দেখাতে পারেনি পর্ষদ। আদালতের চোখেও প্রাথমিক ভাবে এনসিটিই গাইডলাইন লঙ্ঘন চোখে পড়েনি। অবশেষে ৬ মাস পর মামলাকারী মিরাজের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁকে একাধিকবার জেরা করেছে সিবিআই। আদালতেও হাজিরা দিতে হয়েছে তাঁকে। বিচারপতির নির্দেশে তিনি জমা দিয়েছেন তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব। আদালতের নির্দেশে তিনি পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত।