এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কৈফিয়ত তো আমাকে দিতে হবে, কেন বললেন মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election)। তার আগে সবাই তাকিয়ে ছিলেন দলনেত্রীর দিকে। কোন বার্তা তিনি দেন সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। সকাল থেকেই তাই বাংলার(Bengal) চোখ ছিল নজরুল মঞ্চের(Nazrul Mancha) দিকে। সেই মঞ্চ থেকেই দলনেত্রী কার্যত সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন, প্রত্যকটা ভোটে প্রত্যেকটা ভোট তাঁর নামেই পড়ে ইভিএমে বা ব্যালট বাক্সে। দলটা ২৫ বছর পার করে আজও এগিয়ে চলেছে তাঁর নামে ভর দিয়েই। তিনিই আজও দলের মুখ, দলের মাথা। তাই দল বদনাম হলে তাঁকেই আমজনতার কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে। জন তা তাঁর কাছেই কৈফিয়ত চাইবে, আর কারোর কাছে নয়। এটাই তৃণমূল(TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) আমোঘ বার্তা। নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে দলের নীচুতলা থেকে ওপরতলা সবাইকে কার্যত বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি আজও দলের শেষ কথা।

আরও পড়ুন বাম-রাম এক হয়ে গিয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গতকালই ২৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছরে পা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সোমবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে বসেছিল দলের বৈঠক। সবাই তাকিয়ে ছিলেন সেই বৈঠকের দিকে, বৈঠক থেকে কোন বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা দেখতে। সেই বৈঠক থেকেই মমতার বার্তা, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা আগে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যেত। এখন সরাসরি চলে যায়। কাজেই আমরা যে মনিটরিং করব, তারও সুযোগ অনেক কম। আমাদের নজর রাখতেই হয়। কৈফিয়ত তো পঞ্চায়েতকে দিতে হবে না। মানুষের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে আমাকে। যাঁরা ভাল কাজ করবেন, তাঁরা প্রশংসিত হবেন। তাঁদের আরও অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করানো হবে। যদি একটা পোকা ধানে জন্মায়, তাকে সমূলে বিনাশ না করলে কিন্তু ওই পোকাটা থেকেই সারা ধানে পোকা লেগে যাবে। সুতরাং, আমাকে পোকাটা আগেই নির্মূল করতে হবে। দেখতে হবে যাতে পোকা না জন্মায়। আর যদি পোকা জন্মে থাকে, তা হলে প্রথমে তাকে সতর্ক করতে হবে। বলতে হবে, হয় নিজেকে সংশোধন করো, না হলে আমাদের অন্য কিছু ভাবতে হবে। মনে রাখবেন, আমি নিজেও দলের ঊর্ধ্বে নই, মানুষের ঊর্ধ্বে নই। আমার ওপর মানুষের কী কী দায়বদ্ধতা আছে, তা আমি প্রতি দিন সকাল থেকে রাত মেনে চলি।’

আরও পড়ুন বাংলায় আসছে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি ‘দিদির রক্ষাকবচ’

মমতার বার্তায় এদিন পরিষ্কার, তিনি দলের মধ্যে দানা বেঁধে ওঠা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য গ্রাম বাংলার দলীয় পঞ্চায়েত সদস্য নাকি পার্থ-কেষ্ট তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যেহেতু মমতা এখনও পার্থ’র বিরুদ্ধে সেভাবে কঠোর কোনও কথা বলেননি বা কেষ্ট’র বিরুদ্ধে একটিও কথা বলেননি তাই ধরেই নেওয়া হচ্ছে তাঁর লক্ষ্য গ্রাম বাংলার দলের নীচুতলার নেতাকর্মী থেকে পঞ্চায়েত সদস্যরা। কিন্তু প্রশ্ন, এই বার্তাতে কী আদৌ দলে স্বচ্ছতা চলে আসবে? দলের সবাই কী নিজেদের দুর্নীতি থেকে দূরে সরিয়ে নেবেন? কেননা নানা সমীক্ষা বলছে, দেশের মধ্যে প্রায় সব রাজ্যেই মানুষ রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন বা করছেন শুধু পয়াসা কামানোর জন্য। বাংলাও সেখানে ব্যতিক্রম নয়। বাংলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা যে বেতন পান তা খুবই নগণ্য। নিজের খরচা চলা তো দূরের কথা, পরিবারের খরচ চালানোও সম্ভব নয়। তাই দলনেত্রী যে বার্তাই দিন না কেন, আগামী দিনে শাসক শিবিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠবে না একথা জোর গলায় কেউই বলতে পারবেন না। বড্ড জোর সাম্প্রতিক কালে যেখানে যেখানে আমজনতা যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের আর টিকিট দেওয়া হবে না। নতুন তৃণমূল যদি পরিবর্তন কিছু হয় সেটা এইটুকুই। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মমতা আজও তৃণমূলের শুরু আর শেষ। তিনিই দলের শেষ কথা। ২৫ বছর পরেও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাঁইবাড়ির শহরে আজ হাঁটবেন মমতা, জনস্রোতের অপেক্ষায় জি টি রোড

তারাশঙ্করের হাঁসুলি বাঁকের মাটিতেই আজ সভা মমতার

শান্তিপুরে অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে এফআইআর দায়ের তমলুক থানায়

ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে সিপিএমের উত্থানে সংকটে বিজেপি

স্ত্রী চলে যাওয়ার অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্বামী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর