নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই লোকসভার নির্বাচন(General Election 2024)। সেই নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে পদ্ম শিবির এবার সংখ্যালঘু সমাজেরও ভোট(Minority Vote) পেতে উঠেপড়ে লেগেছে। এখন সেই লক্ষ্যেই বিজেপির নানা নেতানেত্রীরা বাংলার বুকেও মসজিদে মসজিদে গিয়ে ঝাঁট দিচ্ছেন, সাফাই করছেন। কিন্তু মজার কথা সংখ্যালঘু এলাকায় একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়নের(Infrastructure Development) জন্য কেন্দ্রের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যক্রমের(Pradhanmantri Jan Vikash Karyakram) জন্য বাংলার প্রাপ্য প্রায় ১০০০ কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। বিজেপি ও মোদি সরকারের সংখ্যালঘু প্রেম যে শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার জন্য সেটা আর তাই বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যক্রমের একটি টাকাও রাজ্যকে দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। আটকে রয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। অথচ কেন্দ্রের এই প্রকল্পে টানা ১০ বছর দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলা(Bengal)।
জানা গিয়েছে, মোদি সরকারের চরম বঞ্চনার মনোভাবের জন্য বাংলার সংখ্যালঘু এলাকায় আটকে রয়েছে একাধিক পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ করা যায় কি না, তা নিয়ে সমীক্ষা করবে রাজ্য। চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের বাজেট ৪ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। এই টাকায় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি থেকে শুরু করে শিক্ষকদের বেতন সহ সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্পের নানা কাজ চালানো হয় সারা বছর। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় যে সব কাজ আটকে রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যেগুলি, তা এই বাজেটের একাংশ খরচ করে করা যায় কি না, তা বুঝতেই এই সমীক্ষা বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ২ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যক্রমের মাধ্যমে হওয়া যাবতীয় কাজের Utilization Certificate জমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ তারপরেও বিনা কারণে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সংখ্যালঘু এলাকায় সংখ্যালঘুদের জন্য মূলত হস্টেল, ক্লাসরুম সহ অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হয়।