নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েকদিন আগেই খুন হয়ে গিয়েছেন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা(Raju Jha)। যিনি আবার বিজেপির নেতাও ছিলেন। ২০২০-র ডিসেম্বরে বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh), তৎকালীন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ, পরে বিজেপির বিধায়ক হওয়া লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের উপস্থিতিতে পদ্ম-পতাকা তুলে নিয়েছিলেন রাজু। কিন্তু তার আগে ওই এলাকায় বা রাজ্য রাজনীতিতে কোনও দিনই সে ভাবে রাজুকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। কিন্তু এখন খাতাকলম নিয়ে যখন বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নেতারা হিসাব করতে বসছেন যে রাজুর অবর্তমানে তাঁদের কী লাভ বা ক্ষতি হবে, দেখা যাচ্ছে খুব কম করেও ৩টি লোকসভা কেন্দ্রে তার ধাক্কা পড়তে চলেছে। সেই ৩টি কেন্দ্র হল – আসানসোল, দুর্গাপুর-বর্ধমান এবং পুরুলিয়া। উনিশের ভোটে এই ৩টি কেন্দ্রই দখল করেছিল বিজেপি। পরে আসানসোল হাতছাড়া হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন কেন্দ্রের NSWS Portal-এ যোগ দিল বাংলা, খুশ মোদি
বঙ্গ বিজেপির সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজুকে দলে নেওয়ার মূলে উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া(Bankura) ও পুরুলিয়া(Purulia) জেলার প্রান্তিক মানুষের কাছে টেনে নেওয়া। কেননা ওই সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর রাজুর বেশ প্রভাব ছিল। একইসঙ্গে রাজুর প্রভাব, বাহুবল ও অর্থবলকেও কাজে লাগাতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ধাক্কা এসেছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাও রাজুর খাস এলাকায়। পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলার ৯টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয়ের মুখ দেখে বিজেপি। কার্যত সেই সময়েই বোঝা যায় রাজুর প্রভাব আর সেই জায়গায় নেই। তারপরেও পরিকল্পনা চলছিল রাজুকে হাত করেই ২০২৪ সালের নির্বাচনে আসানসোল পুনরুদ্ধার করার। পরিকল্পনা ছিল পুরুলিয়া ও দূর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্র ধরে রাখারও। কিন্তু এখন সেখানেই নেমে এসেছে বড় ধাক্কা। যা অবস্থা এই ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ২টিতে বিজেপি ধাক্কা খেতে চলেছে ২০২৪ সালের নির্বাচবনে। এই দুই আসন হল আসানসোল ও বর্ধমান-দূর্গাপুর। ধাক্কা আসতে পারে পুরুলিয়ার ক্ষেত্রেও। বিশেষ করে রঘুনাথপুর, পাড়া ও কাশিপুর বিধানসভার ক্ষেত্রে।