এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

একা নন রাজু ঝা, শিল্পাঞ্চলে খুন হয়েছেন ৯জন মাফিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি: অবিভক্ত বর্ধমান জেলার(Burdhwan District) শিল্পাঞ্চল এলাকায় নয়ের দশক থেকে মাফিয়াদের হাত ধরে যে খুনোখুনি শুরু হয়, তার দাম কিন্তু তাঁদের নিজেদেরও দিতে হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে বর্ধমানের মাটিতেই খুন(Murdered) হয়ে গিয়েছেন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা(Raju Jha)। পরিসংখ্যান বলছে, রাজুকে নিয়ে এযাবৎ কাল পর্যন্ত বর্ধমানের শিল্পাঞ্চল(Asansol Durgapur Industrial Area) এলাকায় ৯জন মাফিয়া(MAfia) খুন হয়েছেন। এদের কেউ ছিলেন কয়লা মাফিয়া, কেউ বা লোহা মাফিয়া কেউ বা ড্রাগ মাফিয়া। এলাকার মানুষেরা এই সব মাফিয়াদের যেমন ভয়া পান তেমনি এদের মৃত্যু দেখতে দেখতেও অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তাঁরা। কার্যত নয়ের দশক থেকেই আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় চলছে এই মাফিয়াদের খুনের ঘটনা। সবটাই এলাকা বা ব্যবসা দখলের জন্য। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাজ করেছে প্রতিশোধ স্পৃহাও। রাজু সেই তালিকার নবৎম সংযোজন।

আরও পড়ুন নিশীথের মুখ পুড়িয়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন, অস্বস্তিতে বিজেপি

কলোসোনা রুইদাস, রমানন্দ যাদব, শেখ বাবলু, শেখ আমিন, যীশু, রামলক্ষ্মণ যাদব, শেখ সেলিমদের একইভাবে শার্প শ্যুটাররা খুন করে চলে গিয়েছিল ঠিক যেভাবে এখন রাজুকে খুন করে গা ঢাকা দিয়েছে শার্প শুটার তথা সুপারি কিলাররা। আগের ঘটনাগুলিতে মাফিয়াদের কে খুন করেছিল, কেই বা খুনের বরাত দিয়েছিল সেই সব সত্য সামনে আসেনি। কার্যত সবটাই আজও এক রহস্য। সম্ভবত রাজু ঝা খুনের ঘটনাতেও একই ঘটনা ঘটতে চলেছে। অর্থাৎ কে বা কারা তাঁকে খুন করল আর কারাই বা তা করালো তা হয়তো অন্ধকারেই থেকে যাবে। তবে এটাও ঘটনা আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের আর ৫টা কয়লা মাফিয়ার মতো রাজুর জীবন ছিল না। রাজু প্রকাশ্যে অনেক বেশি মেলামেশা করতেন। রাজনীতির জগতেও পা রেখেছিলেন। খুন না হয়ে গেলে তিনিই হয়তো আগামী দিনে আসানসোল মহকুমাজুড়ে কয়লার সিন্ডিকেটে নিজের একাধিপত্য কায়েম করতেন।

আরও পড়ুন বর্ধমান জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ধস্তাধ্বস্তি

২০১২ সালে লাউদোহার মাধাইগঞ্জে বাড়ির সামনেই কয়লা কারবারি শেখ সেলিমকে গুলি করে শার্প শ্যুটাররা।  সেই খুনের ঘটনাতেও অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের কৈলাসপুরে শেখ আমিনকে গুলি করে মারা হয়। ২০১১ সালে বার্নপুর রোডে নির্মীয়মাণ একটি হোটেলের সামনে সিনেমার কায়দায় রামলক্ষ্মণ যাদবকে শ্যুট করা হয়। এই ঘটনায় অবশ্য ভিন রাজ্য থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে পুলিস গ্রেফতার করেছিল। শেখ বাবলুকে উখড়া এলাকার এক পেট্রল পাম্পের সামনে গুলি করা হয়। তার আগে আরও কয়েকজনকে একইভাবে মারা হয়েছিল। কিন্তু কেন এই খুনোখুনি? পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, সবটাই কয়লা বা লোহার অবৈধ কারবারের দখলদারি নিতে। নয়ের দশক থেকে রানীগঞ্জ, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর, লাউদোহা, অণ্ডাল সহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ কয়লা খাদানের দখল নিতে এই খুনোখুনি শুরু হয়েছে। এই খাদানগুলি কার্যত টাকার খাদানে পরিণত হয়েছিল। তা দখল করার জন্যই শুরু হয় বোমা, গুলির লড়াই। এলাকায় দাপট দেখাতে পারলেই বস হয়ে ওঠা যায়। কিন্তু তা স্থায়ী হয় না। সময় এলেই একজনকে খতম করে অন্যজন কুর্সি দখল করে। তখন সেই হয়ে যায় বস।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭০০০ পাতার চার্জশিট জমা ইডির

হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়

‘বিচারপতির কলঙ্ক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গো ব্যাক’, পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ ময়না

‘মোদি জিতলে দেশে আর গণতন্ত্র থাকবে না’, আশঙ্কা প্রকাশ মমতার

দই বা ঘুগনি নয়, সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে নতুন ধরনের জলখাবার খেলেন রচনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর