নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রেমের তো কোনও ধর্ম হয় না। তাই সমাজের বাধা নিষেধের তোয়াক্কা না করে ভিন ধর্মের যুবক রাজেশ দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন নুরজাহান। প্রেমিক রাজেশ দাসও দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে সঙ্গে ছিলেন নুরজাহানের। কিন্তু আড়াই বছর পর মত বদলায় প্রেমিকের। সমাজ আর পরিবারের বাধানিষেধের কাছে নিজেকে সঁপে নুরজাহানকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি। কিন্তু অদম্য জেদী নুরজাহান ধর্মের বিধিনিষেধ ছিন্ন করে, সমাজের বাধা নিষেধকে পরোয়া না করে তাঁর জীবনে রাজেশকেই চান। আর সেই দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার (North 24 Parganas) হাবড়া থানা এলাকার লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা নুরজাহান খাতুন। পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলার দাসপুর থানার পোস্তংকা গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ দাসের সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক তাঁর। নুরজাহানের অভিযোগ, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ের কথা বলতে বেঁকে বসে রাজেশ। সমাজ ও পরিবারের চাপে তাঁকে বিয়ে করবে না বলে সটান জানিয়ে দেয়। আর তাই বিয়ে করার দাবি নিয়ে রাজেশের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন ওই তরুণী।
পরিবার ছেড়ে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হাবরা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) দাসপুরে প্রেমিকের পাড়ায় হাজির হন নুরজাহান। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন দুজনেই, সেখান থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে চলে তাঁদের প্রেম। কিন্তু পরিবারের চাপে নুরজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করেন রাজেশ। আর তাই রাজেশের সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাতে চেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গেলে তাঁকে তিরস্কার করা হয় বলে দাবি ওই তরুণীর। অবশেষে প্রেমিক রাজেশ দাসের অপেক্ষায় তাঁর মামাবাড়ির সামনে রাস্তাতেই শুক্রবার সারা রাত ধর্না দিলেন ওই তরুণী। কিন্তু দেখা দিলেন না প্রেমিক। পরিবার ও সমাজের চাপে রাজেশ তাঁর সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ প্রেমিকা নুরজাহানের। তাঁর কাছে রাজেশের সঙ্গে কাটানো একান্ত ব্যক্তিগত বহু ছবিও রয়েছে বলে জানান নুরজাহান। শুক্রবার সারা রাত ধর্না দেওয়ার পর শনিবার সকালে পুলিশ ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় দাসপুর থানায়। এর পর প্রেমিককে পেতে দাসপুর থানায় লিখিতভাবে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন প্রেমিকা নুরজাহান। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।