সুব্রত রায়:আসন্ন কালি পুজো। এরপর জগদ্ধাত্রী পুজো । অপরাধ ঠেকাতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় নাকা(Naka) চেকিং গভীর রাতে।শনিবার রাত এগারোটা থেকে কমিশনারেট এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে শুরু হয় নাকা চেকিং।শহরে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা গুলোতে পুলিশ গাড়ি ও মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালায়।পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসিপি চন্দননগর ভিদিত রাজ বুন্দেশকে নিয়ে ভদ্রেশ্বর(Bhadreswar), চন্দননগর ,চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং কেমন চলছে, তা ঘুরে দেখেন।
চুঁচুড়ার(Chuchura) খাদিনামোড়ে পরিদর্শনে গিয়ে সিপি বলেন,সামনে জগদ্ধাত্রী পুজো। তার আগে কালী পুজো রয়েছে।বেআইনি শব্দ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।পাশাপাশি বেআইনি মদ পাচার আটকানো পুলিশের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ। দুষ্কৃতিরা যাতে এই সময় কোন অঘটন ঘটাতে না পারে তার জন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ।নাকা চেকিং শুরু হয়েছে । এটা এখন চলবে দিনে রাতে।চুরি ছিনতাই যাতে না হয় তার জন্য পুলিশি সক্রিয়তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান সিপি(CP)।
চুঁচুড়া থানা এলাকার সাতটি পয়েন্টে নাকা চেকিং চলে রবিবার ভোররাত পর্যন্ত।বাইক আরোহীদের দাঁড় করিয়ে ব্যাগ তল্লাশি(Raid) করা হয়।চার চাকা গাড়ির ডিকি খুলে যাত্রীদের নামিয়েও চলে তল্লাশি।তবে তল্লাশিতে কিছু মেলে নি। এই ধরনের প্রিভেনটিভ নাকা চেকিং চলবে বলে জানা গেছে। হুগলি জেলায় সম্প্রতি দুর্গাপূজার প্রাক্কালে একটি সোনার দোকানের ডাকাতিসহ পরপর কয়েকটি অপরাধ মূলক ঘটনা ঘটে। তারপরেই চন্দননগর(Chandannagar) কমিশনার ও হুগলি জেলা পুলিশ করা নজরদারি শুরু করে। অপরাধীদের আনাগোনা রুখতে এবং এই ধরনের অপরাধ দমনে সর্বশক্তি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে জেলা প্রশাসন।