নিজস্ব প্রতিনিধি : বিপর্যয়ের রেশ কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ক্রমেই ছন্দে ফিরছে বর্ধমান স্টেশন। বুধবার গভীর রাত থেকে বর্ধমানের ২ ও ৩ নম্বর স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ছুটি বাতিল করে পুনে থেকে বর্ধমানে পৌঁছেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার। আধিকারিকদের সঙ্গে এক প্রস্ত বৈঠক সারেন তিনি। ফের যাতে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সতর্ক রেল প্রশাসন। তবে একটা প্রশ্ন বার বার উঠছে, কেন হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া এই স্টেশনে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটবে।
ইতিমধ্যে বর্ধমাম স্টেশনের ঘটনায় তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবারের দুর্ঘটনায় যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন বর্ধমানের বাসিন্দা লাপুজ্জির মফিজা খাতুন, ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা কান্তিকুমার বাহাদুর ও বিহারের বাসিন্দা সোনারাম টুডু। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল। পাশাপাশি জখমদের ৫০ হাজার টাকা ও অল্প আঘাতপ্রাপ্তদের পাঁচ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। রেলের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কী কারণে জলের ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ল। এই ভেঙে পড়ার পিছনে রক্ষণাবেক্ষণের কোনও ত্রুটি ছিল না। যদি ত্রুটি থেকেও থাকে, তাহলে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অমৃত ভারত প্রকল্পে দেশের বেশ কয়েকটি স্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে বর্ধমান স্টেশনও। কিন্তু এই বর্ধমান স্টেশনে যেভাবে একের পর এক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে, তাতে রেলের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি স্টেশনের মূল ফটকের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল রেল। এরপর স্টেশন ভবনের মেরামতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। সেই ঘটনার পর ফের আরও একটি বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে গেল। স্বভাবতই ফের আরও একবার ভবন মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, তা তদন্ত করবে রেল। কারো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।