নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা দুর্ঘটনা বদলে দিয়ে গিয়েছে অনেক মানুষের জীবন। অনেকেই চিরতরে হারিয়ে গেলেন। অনেকেই রয়ে গেলেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার স্মৃতি নিয়ে। অনেক পরিবারের রুটিরুজি হারিয়ে গেল, অনেক পরিবারে অনেক সমস্যাও নেমে এল। তারমধ্যেও শুরু হয়ে গিয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। বৃহস্পতিবার বিকালে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহণীতে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেস। তার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৯জন। আহতের সংখ্যা ৩৬। তার পরেও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। মৃতদের মধ্যে ৩জন কোচবিহার জেলার। সেই খবর পেয়েই শুক্রবার বেলার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু সেখানেই গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
কোচবিহার জেলার ৩ যুবক রাজস্থানের জয়পুরে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। পৌষ সংক্রান্তিতে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন ওই ট্রেনে করেই। কিন্তু তাঁদের বাড়ির কাছে এসেও আর বাড়ি ফেরা হয়নি। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ৩জনই। সেই খবর পেয়ে দ্রুত এদিন ঘটনাস্থলে আসেন রবিবাবু। কেননা তাঁর বাড়িও কোচবিহার জেলায়। এদিন বেলার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান তিনি। সেখানে পরিদর্শন শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। এরপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমে তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য রবিবাবু কোচবিহার জেলার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক ও বাসিন্দা। তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন।