নিজস্ব প্রতিনিধি,সন্দেশখালি: দু’নম্বর ব্লকে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য ১৯ টা জায়গায় ১৪৪ধারা জারি ছিল ।তার মধ্যে ৪টি জায়গা থেকে আজ ১৪৪ ধারা তুলে দেওয়া হল। যেগুলো হল গোপালের ঘাট, দাউদপুর, আতাপুর , পুলেপারা।বাকি ১৫টা জায়গাতে ২১,শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টার পর থেকে ১৪৪ ধারা (144)তুলে নেয়া হবে, জানালেন বসিরহাট পুলিশের পুলিশ সুপার ডক্টর মেহেদী হাসান।সন্দেশখালি নিয়ে শাসক দল এবার ময়দানে।যাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ হয়েছে তারা গ্রেপ্তার হয়েছে।লিজের টাকা ফেরত দিতে নথিভুক্ত করা হচ্ছে বঞ্চিতদের নামের তালিকা। রবিবার উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের চেহারা অঞ্চলে রাজ্য তৃণমূলের নেতৃত্বে এক প্রতিদ্বন্দ্বীদল যান।
সেখানে বিশাল কর্মীসভা হয়। ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সহ একাধিক নেতৃত্ব । সন্দেশ খালি এক নম্বর ব্লক ও দু নম্বর ব্লকের ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকরা এই কর্মী সভায় হাজির ছিলেন। আগামী দিনে সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে কিভাবে শাসকদলের রণনীতি তা খাতা কলমে বুঝিয়ে দিলেন। ইতিমধ্যে সন্দেশখালি বঞ্চিতদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে ।তাদের যে অর্থ তারা পায় যার জন্য যেই আন্দোলন শুরু হয়েছিল চলতি মাসের ৫ ই ফেব্রুয়ারি। আন্দোলন, মিছিল ,মিটিং প্রতিবাদ থানা গ্রাম একাধিক কর্মসূচি লাগাতার ছিল সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) । তাই সন্দেশখালি কে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে বঞ্চিতদের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে শাসক দল।
মন্ত্রীদের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। আগামী দিনে সন্দেশখালিতে এক বিশাল জনসভা হবে তার মধ্যেই এক কর্মীসভার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি সভার সেরে নিলেন রাজ্য তিনি মূল নেতা ।যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা গ্রেফতার হয়েছে। আমরা কারোর মুখ বন্ধ করিনি। আমরা সন্দেশখালি মানুষের কথা শোনার জন্যই যাচ্ছি। পাশাপাশি ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দু-একটা বুথে এই ঘটনা ঘটেছে মানুষ আমাদের পাশে আছে। তা আগামী দিন সন্দেশখালিতে জনসভার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দেব। প্রশ্ন হচ্ছে বঞ্চিতদের লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি কোন খাত থেকে দেওয়া হবে সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন তুলছে বিরোধীরা। তবে এসব আমল দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল।