নিজস্ব প্রতিনিধি: ৫০০ টাকা নয়, একজন মহিলাকে সম্মান জানানোই হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে তাঁদেরও সংসারে কিছু অবদান রাখার স্বীকৃতি। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে নারী ও শিশু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি জানান, একজন মহিলাকে লক্ষীর ভান্ডারের মাধ্যমে সন্মান জানানোই সরকারের উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৩৩ লক্ষ মহিলা লক্ষীর ভাণ্ডারের অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পেয়ে গিয়েছেন। আগামীদিনে সেপ্টেম্বর,অক্টোবর ও নভেম্বরের টাকাও পেয়ে যাবেন। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই ২১৬৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মোট ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
শশী পাঁজা এদিন বিধানসভায় জানান, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ৭২ লক্ষ শিশুকে পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, ভারতে যখন এক তৃতীয়াংশ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে, সেখানে রাজ্য়ের পরিসংখ্য়ান যথেষ্ট কৃতিত্বের। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হেলদোল নেই শিশুদের অপুষ্টি দূর করা নিয়ে। শশী পাঁজা আরও জানান, কন্যাশ্রীতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। রাজ্যের ৭৫ লক্ষ ছাত্রী এই সুবিধা পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, স্নেহছায়া প্রকল্পের মাধ্যমে কোভিড আক্রান্তদের পাশে দাড়িয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, সেই পরিবারের শিশুদের দায়িত্ব নিচ্ছে রাজ্য সরকার।