নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব রেলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, মালগাড়ি ঢোকার কারণে নির্দিষ্ট কয়েকটি ট্রেন বাতিল থাকবে। তা সত্ত্বেও কিছু যাত্রী শনিবার সকালে সময়মতো ট্রেন না পেয়ে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে অবরোধ(Train Blocked) শুরু করেন। পাশাপাশি লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখানোও শুরু করেন তাঁরা। আর তার জেরেই আটকে যায় বেশ কয়েকটি ট্রেন। সাতসকালে এই অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা(Daily Passengers)। আটকে পড়েন কলকাতামুখী বহু মানুষ। ঘটনাস্থল শিয়ালদা(Sealdha) দক্ষিণ শাখার সোনারপুর-ক্যানিং উপশাখার বেতবেড়িয়া ঘোলা স্টেশন(Betberia Ghola)। এই ঘটনার জেরে সোনারপুর ও ক্যানিংয়ের(Canning) মাঝে ট্রেন চলাচল প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে বন্ধ থাকে। যদিও শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার অনান্য লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিকই রয়েছে।
জানা গিয়েছে, মালগাড়ি যাওয়ার কারণে এদিন সকালে ক্যানিং থেকে ভোর ৫টা ১৭মিনিট ও সকাল ৬টার শিয়ালদা লোকাল বাতিল করা হয়। যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মালগাড়ি ঢোকার কারণে নির্দিষ্ট কয়েকটি ট্রেন বাতিল থাকবে, তা আগেই জানানো হয়েছিল। যাত্রীদের অবশ্য অভিযোগ এই ধরনের কোনও বিজ্ঞপ্তি তাঁরা কোথাও দেখেননি, সেই সঙ্গে স্টেশনে স্টেশনে কোনও ঘোষণাও করা হয়নি। এদিন সকালে সবাই ট্রেন ধরতে এসে শোনেন পর পর দুটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আর তার জেরেই ক্ষিপ্ত যাত্রীদের একাংশ ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে ও রেল লাইনে উঠে অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এমনিতেই কোভিডের পরে ক্যানিং আর শিয়ালদার মধ্যে ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায়শই দেখা যাচ্ছে ভোরবেলা ও সকালের দিকে ট্রেনগুলি হুটহাট করে বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই তাঁরা অবরোধ শুরু করেছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে বেতবেড়িয়া ঘোলা স্টেশনে আসে রেল পুলিশ। তাঁরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বললেও অবরোধ তুলতে পারেননি। পরে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে প্রায় ৩ ঘন্টা বাদে সাড়ে ৯টার সময় অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়। যদিও এই অবরোধের দরুন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ক্যানিং ও শিয়ালদার মধ্যে আপ ও ডাউন দুই শাখাতেই ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে শিয়ালদা থেকে বজবজ, ডায়মন্ডহারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর ও নামখানা শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিকই রয়েছে।