নিজস্ব প্রতিনিধি: ইচ্ছা থাকলে কত অসাধ্যসাধন না করে ফেলা যায়। রাতে সন্তান প্রসব করে সকালে মাধ্যমিকের পরীক্ষায় (Madhyamik Examination) বসল আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা হিন্দি হাই স্কুলের ছাত্রী স্নেহা কণ্ডুলনা (Sneha Kandulna)। এমন অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিন ছিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। সন্তান গর্ভে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে দুই পরীক্ষাই দিয়েছে স্নেহা কণ্ডুলনা (Sneha Kandulna)। শনিবার ছিল ভূগোল পরীক্ষা। কিন্তু শুক্রবার রাতে আচমকা প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর স্নেহার স্বামী অনিশ কণ্ডুলনা তাঁকে তড়িঘড়ি কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক ও নার্সের সহযোগিতায় মধ্যরাতে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় স্নেহা। কিন্তু ওই অবস্থায় পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় জেনেও হাল ছাড়েনি ওই জেদী ছাত্রী। অবশেষে তার ইচ্ছায় হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। একদিনের সন্তানকে কোলে নিয়ে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে বসে শনিবার ভূগোল পরীক্ষা দিল সে।
স্নেহা স্নেহা কণ্ডুলনার (Sneha Kandulna) পরিবার জানায়, শুক্রবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা ওঠার পর তাকে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাতেই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর আমরা কালচিনি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ব্লক প্রশাসন হাসপাতালে বসে শনিবার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এদিনই ওই সদ্য মা হওয়া পরীক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করতে যান কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্লকের শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। স্নেহা যাতে ভালভাবে পরীক্ষা দিতে পারে তা সকলকে দেখে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও।