নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়ম অনুসারে নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে আয় ও ব্যয়ের হিসাব পেশ করতে হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে পুরনির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুকে বিজেপির ৩ প্রার্থী জয়া দাস নায়েক, বিশ্বজিৎ কয়াল এবং বিভা চক্রবর্তী সেই হিসাব দেননি। এবারের পুরনির্বাচনেও তাঁরা আবারও বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মাঠে নামলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করে। কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়, গত ভোটে আয় ব্যয়ের হিসাব উল্লেখ না করাতেই বাতিল করা হয়েছে মনোনয়ন। কমিশনের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপির ওই ৩ প্রার্থী। একই সঙ্গে এবারে তমলুক পুরসভায় ওই ৩জনের মনোনয়ন বাতিল করার পাশাপাশি আরও ৫৮জনের মনোনয়ন বাতিল করে কমিশন। তাঁরাও মামলা দায়ের করেন হাইকোর্টে।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, জয়া দাস নায়েক, বিশ্বজিৎ কয়াল এবং বিভা চক্রবর্তী সহ আরও ২ প্রার্থীর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছেন তাঁরা। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ওই ৫ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে আদালত এদিন বাকি ৫৬জনের ক্ষেত্রে কোনও রায় দেয়নি। এমনকি কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও হস্তক্ষেপও করেনি। এদিন মামলার শুনানিতে কমিশন জানায়, তমলুকের যে ৬১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তাঁরা ২০১৫ সালের নির্বাচনের সময়ে তাঁদের আয় ব্যয়ের হিসাব জমা করেননি। পরবর্তীকালে তাঁদের এক মাসের মধ্যে তা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটাও তাঁরা করেননি। তাতেই এবার তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এই ৬১জন প্রার্থীদের মধ্যে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির প্রার্থী যেমন রয়েছে তেমনি একাধিক নির্দল প্রার্থীর নামও রয়েছে।