নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস ছাড়াও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৪ পুর নিগমের ভোটগ্রহণ। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোট করানো হবে এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব কারা পালন করবে সেটা নিয়েই আলোচনা হয় এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে।
সূত্রের খবর, আসন্ন চার পুরনিগমের নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব রাজ্য পুলিসকেই দিতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা পুরভোটে পুলিশের কর্মদক্ষতায় আস্থা রাখা হয়েছিল। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটও হয়েছে শান্তিপূর্ণ। তাই এবার রাজ্যের বাকি চার পুরনিগমের ভোটেও রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, প্রত্যেক বুথে মোতায়েন থাকবে সশস্ত্র পুলিস। বুথ সংলগ্ন এলাকাতেও থাকবে সশস্ত্র পুলিস।
কমিশন সূত্রে খবর, আসন্ন চার পুরসভার ভোটে কড়া কোভিড বিধি মানতে হবে। কোথাও এই নির্দেশ মানা না হলে পুলিশ, প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলল কমিশন। পাশাপাশি করোনা আবহে ভোট করানোর জন্য প্রয়োজনে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ বা পশ্চিমবঙ্গ অতিমারি আইন প্রয়োগ করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি পুরভোটের প্রচারে আসানসোলের এক প্রার্থী কোভিডবিধি মানেননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া কলকাতা পুরভোটের মতো চার পুরসভা এলাকায় টিকাকরণ কর্মসূচি করবে কমিশন। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে টিকাকরণ। অপরদিকে নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন রাজ্যের কাছে বাহিনী সম্পর্কে জানতে চায়। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার কী পরিমাণ বাহিনী দিতে পারবে তা ৮ জানুয়ারির মধ্যে কমিশনকে জানিয়ে দিতে হবে। বাহিনীর বিষয়টি স্পষ্ট হলেই কমিশন ঠিক করবে কোন পুরসভায় কত বাহিনী থাকবে।