নিজস্ব প্রতিনিধি: ১ মাস বাদেই পরীক্ষা। এদিনই ছিল জন্য ফর্ম পূরণের শেষ তারিখ। অথচ এখনও কলেজের পড়ুয়ারা রেজিস্ট্রেশনের নম্বরই(Registration Number) পাননি। আর সেটাও ভর্তির দেড় বছর বাদেও। আর তার জেরেই পড়ুয়া বিক্ষোভে উত্তাল পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার Kharagpur Tribal B.ED College। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আসন সংখ্যা সীমিত থাকা সত্ত্বেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করে বিপাকে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই তাঁদের রেজিস্ট্রেশন আটকে গিয়েছে। তবে কলেজেরই পড়ুয়াদের অপর অংশের দাবি, ৩১ জন পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁদের সংখ্যা মাত্র ১৬। তাঁদেরই রেজিস্ট্রেশন নম্বর আসেনি এখনও। তাই তাঁরা পরীক্ষায় বসার জন্য ফর্ম পূরণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকায় তাঁদের পরীক্ষায় বসা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন পাহাড়ে Masterstroke মমতার, পাট্টা পাবেন বাসিন্দারা
জানা গিয়েছে, Kharagpur Tribal B.ED College-এ ২০২১-২৩ অর্থবর্ষের ডিএড কোর্সের(D.ED Course) ভর্তি নেওয়া হয় প্রায় ৪৭ জন পড়ুয়াকে। এরমধ্যে ৩১ জন পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলেও বিপাকে পড়েছেন ১৬ জন। এই ১৬জনই ও তাঁদের অভিভাবক ও পরিচিতজনেরাই এখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কলেজে। কেননা ভর্তির দেড়বছর পরেও তাঁরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাননি। এদিকে পরীক্ষায় বসার জন্য যে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে সেখানে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লাগবে আর সেই ফর্ম ফিলাপের শেষ তারিখ ছিল এদিন অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শুরু ৯ মার্চ থেকে। অর্থাৎ হাতে ঠিক আর ১ মাস সময়। এর মধ্যে ওই ১৬জন পড়ুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর না পেলে তাঁরা পরীক্ষায় বসার জন্য ফর্ম ফিলাপ করতেই পারবে না। সেক্ষেত্রে তাঁদের পরীক্ষায় বসাও চূড়ান্ত অনিশ্চিত হয়ে যাবে। কেননা ফর্ম পূরণের সময় রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। তার জেরেই এদিন ওই কলেজের অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়া সহ তাঁদের অভিভাবক ও পরিচিতি জনেরা।
আরও পড়ুন সুন্দরবন রক্ষায় ৯ সদস্যের নজরদারি কমিটি, পরিবেশ আদালতের
বিক্ষোভকারীদের একাংশের অভিযোগ, আসন সংখ্যা সীমিত থাকা সত্ত্বেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করে বিপাকে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দেড় বছর ধরে ক্লাস করেছেন ওই পড়ুয়ারা। তাঁদের আরও দাবি, বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তির যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। কেননা তাঁরা অনান্যদের থেকে আরও অনেক আগে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন হয়নি। অথচ যাঁরা পরে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষও। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থাকা পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও দাবি, তাঁদের ঘরের পড়ুয়ারা একেবারে প্রথমদিকে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের কেন রেজিস্ট্রেশন হল না? কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। কলেজের গাফিলতিতেই তাঁদের দু’বছর নষ্ট হতে বসেছে। কলেজ এখন বলছে পরের বছর তাঁদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেবে। এটা কোনও সমাধান হল? তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে পাঁচদিন সময় দিয়েছেন। সমাধান না হলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। প্রয়োজনে জেলা শাসক ও মুখ্যমন্ত্রীকেও লিখিত অভিযোগ জানাবেন।